ঢাকা   ২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ৯ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফেনী সদরের হোটেল শ্রমিকদের মিছিল ও সমাবেশ এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে ফেনীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ফেনীতে মহাসড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সবাই ছিলেন নির্মাণশ্রমিক চাকরিতে পুনর্বহালসহ গ্রামীণফোনের কর্মীদের তিন দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন বাংলাদেশে এখনো হুমকি-হামলার শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকেরা: সিপিজে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মেট্রোরেল বন্ধের হুমকি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ সাবেক স্বাস্থ্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম গ্রেফতার ফেনীতে বিএনপির জনসভায় যা বললেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ ‘মব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে’

রেলের খাবার গাড়িগুলো নতুন সিন্ডিকেটের দখলে

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : রবিবার, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
  • 563 শেয়ার

বিশেষ প্রতিনিধি
বাংলাদেশ রেলওয়ে খাবার গাড়ি গুলো ৩/৪ টা ক্যাটারিং সার্ভিসের দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের দখলে। রেল মন্ত্রণালয়ের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় খাবার গাড়ি গুলো ভাগ বটোয়ারা করে রেখেছে সিন্ডিকেট। কোনো রকম দরপত্র আহ্বান ছাড়া মেসার্স হাবিব এন্ড সন্স, ও সুরুচি ফাস্টফুড কোম্পানি দুটি রেলওয়ের প্রভাবশালী অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় ব্যাবসা করে চলছে। সিন্ডিকেট এর মূল হোতা আবদুর রাজ্জাক ভূইয়া ও মামুন ভূইয়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে কোনো রকম দরপত্র আহ্বান ছাড়া একের পর এক কাজ হাতিয়ে নিচ্ছে। রেলের খাবার গাড়িগুলোসহ ওয়ান বোর্ড সার্ভস রেলওয়ে এদের দখলে। ২০০১ সাল থেকে এই সিন্ডিকেট সক্রিয়ভাবে দখলদারিত্ব করে চলেছে। আবদুর রাজ্জাক ভূইয়ার বাড়ি নোয়াখালী সোনাইমুড়ী থানার অম্বলনগর ইউনিয়নের ওয়াশেকপুর। তিনি ৫নং অম্বর নগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।
গত বছরের ২৮ শে অক্টবর কমলাপুর সহ নয়াপল্টনে বিএনপির জ্বালাও পোড়াও সমাবেশের কার্য পরিচালনা কাজে অর্থের যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত। মামুন ভূইয়া ও আবদুর রাজ্জাক ভূইয়া সকল গাড়িগুলো সিন্ডিকেট করে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন। ঢাকা কক্সবাজার রুটের নতুন খাবার গাড়িগুলোও এরা নিজেদের করে নিয়েছেন টেন্ডার মূল্যায়ন ছাড়া। যার কারণে রেল পথে যাতায়াত করা যাত্রী সাধারণ ভালো মানের খাবার সেবা পান না। এ নিয়ে যাত্রীদের বিস্তর অভিযোগ ও ক্ষোভ রয়েছে। রেলওয়ের সেবার মান উন্নত করতে সরকারের বৃহৎ পরিকল্লপনা ও সদিচ্ছার বাস্তবায়নে এই সিন্ডিকেট প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কাছ থেকে জানা গেছে। এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে আর্থিক সুবিধাদি দিয়ে সবকিছু আড়ালে রাখার চেষ্টা করা হয় বলে জানা যায়। এই সকল অসাধু দুষ্কৃতিকারী চক্রের হাত থেকে রেলকে মুক্ত করে যাত্রী সেবার মান উন্নত করার দাবি জনসাধারণের।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০