নরসিংদী প্রতিনিধি
রাস্তায় বেরিকেট সৃষ্টি করে একটি প্রাইভেটকারের মালিক ব্যবসায়ী ও রায়পুরা উপজেলার অলিপুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ দুলু (৭০) কে জিম্মী করে চোখ বেধে ও ব্যাপক মারধোর করে এক কোটি টাকা মুক্তিপন আদায়ের দাবিদারদের ঘটনার ১১ দিন পরও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। নরসিংদী শহরের নিজ বাড়ী থেকে তার ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার নিয়ে গত ৪ অক্টোবর বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাহেপ্রতাব এলাকার দগরিয়া নামকস্থানে পৌছলে পিছন দিক থেকে চারটি মোটরসাইকেলে ৮ জন আরোহী প্রাইভেটকারের সামনে গিয়ে গাড়ীটি আটকায়। এসময় গাড়ীর ড্রাইভার গাড়ীটি দাঁড় করার সাথে সাথে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসীরা গাড়ীর দরজা খুলতে ড্রাইভারকে বাধ্য করে। দরজা খোলার পর সন্ত্রাসীরা গাড়ীর পিছনে দুই জন এবং সামনে সিটে একজন বসে। এর মধ্যে পিছনের দুই জন গাড়ীতে থাকা আলী আহমেদ দুলুর চোখ বেধে ফেলে এবং এক কোটি টাকা মুক্তিপন দাবী করে। এসময় তার সাথে থাকা জমির দলিলাদি, প্রয়োজনীয় মূল্যবান কাগজপত্র, জমির নকশা, বিল্ডিং এর নকশা, তিনটি ব্যংকের চেক বই এবং ৪ থেকে ৫টি খালি চেকের পাতায় স্বাক্ষর এবং ১০০ টাকার ননজুডিশিয়াল ৩টি খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ৬/৭ ঘন্টা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরা ঘুরি করে রাত অনুমান ১১টার দিকে তাকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার চৈতন্যা নামক স্থানে নামিয়ে দিয়ে প্রাইভেটকারটি নিয়ে সন্ত্রাসীরা সদর্পে চলে যায়। সন্ত্রাসীরা চলে যাবার সময় তাকে এই মর্মে হুমকি প্রদান করে যে, এব্যাপারে কোনো বাড়াবাড়ি বা থানা পুলিশের সাহায্য নিলে তোকে, তোর ছেলে এবং তর ম্যানেজারসহ গোটা পরিবারকে প্রাণে মেরে লাশ গুম করে ফেলবো। আলী আহমদ দুলু বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এব্যাপারে আলী আহমেদ দুলুর পক্ষ থেকে নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা করার জন্য গেলে পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে নানা তালবাহানা করে। অবশেষে ঘটনার ৮ দিন পর গত ১২ অক্টোবর নরসিংদী থানা পুলিশ মামলা নিতে বাধ্য হয়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আঃ গাফফার জানান, মামলার প্রধান আসামী গাড়ীর ড্রাইভার হাসানকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ এ ব্যাপারে তৎপর রয়েছে।