বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
প্রায় সারাবছরই রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কগুলোতে বিভিন্ন ধরণের উন্নয়ন-সংস্কারমূলক তথা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলমান থাকে। সিটি করর্পোরেশনের অনুমতিপ্রাপ্ত হয়ে এ সকল কাজ করে থাকেন ডিপিডিসি, ওয়াসা, এমআরটি কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
ট্রাফিক প্রেশার বিবেচনায় নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী সংস্থার সাথে ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয় থাকা খুবই প্রয়োজন। যানজট নিরসন ও নগরবাসীকে স্বস্তি প্রদানের গুরুত্ব বিবেচনা করে রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের আওতাধানী সড়কে উন্নয়ন-সংস্কারকাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান/সংস্থাসমূহের প্রতিনিধির সাথে ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের সমন্বয় সভা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ মইনুল হাসান পিপিএম। সভায় এমআরটি-৬ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান, ডিপিডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফয়েজ করিম, মোঃ কামরুল হাসান চৌধুরী ও মোঃ তরিকুল ইসলাম, ডিএসসিসির এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পারভেজ রানা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারগণ এবং ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার, পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন)সহ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রথমে উন্নয়নমূলক কাজ চলমান আছে এ ধরনের অন্তত ১০ স্থানের বর্তমান অবস্থা নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে তা প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া সড়কগুলোর বিদ্যমান অবস্থা, গতি প্রকৃতি, ট্রাফিক বিঘ্নতা প্রভৃতি নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপমূলক আলোচনা করা হয়।
পরে উপস্থিত সকলে নিন্মোক্ত কিছু অতিপ্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে একাত্মতা পোষণ করেন। এগুলো হলো- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অতিদ্রুত চলমান কাজ সম্পন্ন করতে হবে; কাজ চলার সময় রোড সাইনস, মার্কিং দৃশ্যমান এবং বড় আকারে লিখে রাখতে হবে যাতে নগরবাসী এ ব্যাপারে সম্যক ধারনা পান; খনন কাজের সংক্ষিপ্ত উদ্দেশ্য, জনগণের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ, মোট খনন কাজের দৈর্ঘ্য ও কাজ সমাপ্তির তারিখ উল্লেখসহ সাইন বোর্ড স্থাপন করতে হবে; খনন সাইটের চর্তুদিকে নির্ধারিত ডিজাইন ফিতা দ্বারা বেষ্টুনী/ সিগন্যাল লাইট স্থাপন করতে হবে; রাত্রীকালীন খননের সময় পর্যাপ্ত বাতি এবং সিগন্যাল লাইটের ব্যবস্থা রাখতে হবে। রাতের বেলা লাল বাতি ও দিনের বেলা হলুদ বাতির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে; ধুলাবালি উড়ে যাতে জনসাধারণের চলাচলের অসুবিধা সৃষ্টি না করে তজ্জন্য নিয়মিত ও প্রয়োজন মোতাবেক রাস্তায় পানি ছিটাতে হবে; খননকৃত মাটি, রাবিশ ইত্যাদি ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে; প্রত্যেকটা স্থানে পর্যাপ্ত সেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। এসি (ট্রাফিক মতিঝিল) ইহা সমন্বয় করবেন; চলমান কাজের ব্যারিকেড সুন্দরভাবে দিতে হবে যাতে রাতের বেলায় রিফ্লেক্ট করে। অন্যথায় নানাবিধ দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে; কাজ শেষে বালু পানি দিয়ে সুন্দরভাবে কম্প্যাকশনসহ সোলিং ও হেরিংবন্ড এর কাজ অতিদ্রুত সম্পাদন করতে হবে যা পরবর্তীতে সিটি কর্পোরেশন উহা কার্পেটিং করবে।