ঢাকা   ১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শতাধিক পণ্য ও সেবার উপর মূল্য সংযোজন কর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করায় বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের সংবাদ সম্মেলন ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি কিনছে বাংলাদেশ, খরচ ১১৩৭ কোটি সংসদ হবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট, আসন থাকবে ৫০৫টি নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ৪০ কৃষক নিহত দক্ষিণ আফ্রিকায় সোনার খনিতে শতাধিক শ্রমিক নিহত জুলাইয়ের মধ্যেই নির্বাচন চায় বিএনপি বৈষম্যহীন ঐক্য পরিষদের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে ফরেন লোন বিষয়ক বাংলা ভাষায় নিঁখুত ও পূর্নাঙ্গ লেখার লেখক Abdullah Al Masum…. দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫) নিকলীতে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার দাবিতে মানিকগঞ্জে বিএনপির জনসভা

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : রবিবার, জানুয়ারি ১২, ২০২৫
  • 56 শেয়ার

মোঃ বজলুর রহমান
বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। জনগণের পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে । তবে, এসব পদক্ষেপ আরো জোরালো করতে বিএনপি সমর্থিত জনগণ গত ১৩ জুলাই ২০২৩ তারিখে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জনসভা করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া অঞ্চলে ফুকুর হাটি ইউনিয়নের জান্না হাই স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণ স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জনসভার আয়োজন করেন ।
যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক জি এস জিন্নাহ খান। প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট রকিবুর রহমান (রাকিব )। বিশেষ অতিথি ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী নাদিম হোসেন টুয়েল ।
আরো উপস্থিত ছিলেন, সাটুরিয়া থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ মহসিন উজ্জামান, সদস্য সচিব আরিফুর রহমান (আরিফ)।
ফুকুর হাটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মুহাম্মদ আলী, সদস্য সচিব মোঃ আলিম হোসেন, সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক মোঃ সবুজ মিয়াসহ মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মী ।

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা হল
১. জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন।
২. সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্রসত্ত্বা (Rainbow-Nation) প্রতিষ্ঠা (National Reconciliation commission’) “জাতীয় সমন্বয় কমিশন” গঠন।
৩. অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন।
8.আইনসভা, মন্ত্রীসভা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিচার বিভাগের মাঝে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা।
৫. প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময়সীমা অনুর্ধ্ব পরপর দুই মেয়াদ নির্ধারন।
৬. বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আইন সভায় উচ্চকক্ষের প্রবর্তন।
৭. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন।
৮. নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সংশোধন।
৯. স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরনে সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ও শক্তিশালীকরন।
১০. বর্তমান বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনঃপ্রবর্তন ও সংবিধানের আলোকে বিচারপতি নিয়োগ আইন প্রণয়ন।
১১. গণমুখী ও জনকল্যাণমূলক প্রশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন।
১২. মিডিয়া কমিশন গঠন করে তথ্য ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ।
১৩. দূর্নীতি প্রতিরোধে দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়পাল নিয়োগ।
১৪. সর্বস্তরে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা।
১৫. আত্মনির্ভরশীল জাতীয় অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন।
১৬. ধর্মীয় স্বাধীনতার সর্বোচ্চ ও কার্যকর নিশ্চয়তা প্রদান।
১৭. মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধির আলোকে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরী নিশ্চিত করা।
১৮. প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ এবং নবায়নযোগ্য ও মিশ্র জ্বালানী ব্যবহারে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ খাত আধুনিকায়ন।
১৯. জাতীয় স্বার্থের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করে বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন।
২০. প্রতিরক্ষা বাহিনীর অধিকতর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা।
২১. প্রশাসন ও সেবা বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলি স্বশাসিত ও ক্ষমতাবান করা।
২২. শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান।
২৩. কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বেকার ভাতা প্রবর্তন।
২৪. নারীর মর্যাদা সুরক্ষা ও ক্ষমতায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ।
২৫. চাহিদা ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা।
২৬. “সবার জন্য স্বাস্থ্য” এবং “সর্বজনীন চিকিৎসা” ব্যবস্থা কার্যকর করা। প্রাথমিক ও প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রশিক্ষিত নারী ও পুরুষ পল্লী স্বাস্থ্যকর্মীর ব্যবস্থা করা এবং সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণা সুবিধা নিশ্চিত করা।
২৭. কৃষকের উৎপাদন ও বিপণন সুরক্ষা দিয়ে কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা।
২৮.সড়ক, রেল, নৌ পথের আধুনিকায়ন ও বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।
২৯. জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ এবং নদী শাসন ও খাল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
৩০. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা এবং আণবিক শক্তির উন্নয়ন ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা।
৩১. যুগোপযোগী, পরিকল্পিত, পরিবেশ বান্ধব আবাসন এবং নগরায়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০