যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয়বারের মতো লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ডাউনিং স্ট্রিটে শনিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি চার সপ্তাহের (এক মাস) জন্য এই লকডাউনের ঘোষণা দেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) থেকে এ লকডাউন শুরু হবে। সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের ক্রিসমাস ‘বেশ আলাদা’ হতে পারে। কিন্তু তিনি প্রত্যাশা করেন, এই সময়ে পদক্ষেপ নেওয়া মানে ভবিষ্যতে পরিবারের সবাই একসঙ্গে হতে পারা।
লকডাউনে পাব, রেস্তোরাঁ, জিম ও অপ্রয়োজনীয় দোকান-পাট বৃহস্পতিবার থেকে চার সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে। তবে প্রথম দফায় লকডাউনের মতো এবার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ না রেখে চাইলে খোলা রাখা যেতে পারে।
আগামী ২ ডিসেম্বরের পর এসব কড়াকড়ি শিথিল করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
লকডাউনে থাকছে যেসব বিধিনিষেধ
বাড়িতে বসে করা সম্ভব নয় এমন কাজ ব্যতীত মানুষজনকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। খাদ্যদ্রব্য, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়ের জন্য, চিকিৎসাজনিত কারণে ব্যায়াম, স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করার জন্য মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারবেন।
শারীরিকভাবে নাজুক ও নিয়মিত যত্ন প্রয়োজন হয় এমন ব্যক্তিদের সেবা করার দরকার হলেও ঘর থেকে বের হওয়া যাবে। ঘরের ভেতরে, এমনকি বাগানেও কোনো ধরনের ব্যক্তিগত আয়োজন করা যাবে না।
যেসব কারণে আবারো কঠোর ব্যবস্থা
ফ্রান্স ও জার্মানিসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি উল্টো পথে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যেও দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সম্পর্কে শঙ্কা তৈরি হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরেই।
বরিস জনসনকে এরকম পরিস্থিতি ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল। ছয় সপ্তাহ আগে ব্রিটেনের বিরোধী দল, এমনকি জনসনের মন্ত্রীসভার সদস্যরা পর্যন্ত সীমিত মাত্রায় লকডাউনের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তের সংখ্যা দশ লাখ ছাড়িয়েছে। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২২ হাজার নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা গড়ে প্রায় সাড়ে তিনশ।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত (শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ ১১ হাজার ৬৬০ জন। আর এ ভাইরাসে মারা গেছেন ৪৬ হাজার ৫৫৫ জন।