মোঃ বজলুর রহমান
মৌলিক অধিকার খাদ্য । খাদ্য ও শস্য মূল্যের দাম কমানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে । তন্মধ্যে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ অন্যতম ।
গতকাল বুধবার মানিকগঞ্জ ঘিওর অঞ্চলে ৮,১৯০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয় । যা গত বছরে মাত্র ১৮০০ কৃষকের মাঝে সীমাবদ্ধ ছিল ।
কৃষক মোঃ আব্দুর রহিম বলেন, অর্ধ মন গমের বীজ পেয়েছি এবং ডি এ পি ও এম ও পি সার পেয়েছি । কৃষক সুনামুদ্দিন বলেন, ২ কেজি ভুট্টার বীজ ও ২০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার পেয়েছি । কৃষক শাহিন বেপারী বলেন, আমি ১কেজি সরিষার বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি স্যার পেয়েছি । এভাবে কৃষকরা সূর্যমুখী ফুলের বীজ, পেঁয়াজ, খেসারি, বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি যেমন টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, মরিচ, ব্রকলি, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাল শাক, পালং শাক, ছিম, বাটি শাক সহ চাহিদা মোতাবেক বীজ সার ও ১০০০ টাকা নগদ অর্থ পেয়ে বেজায় খুশি প্রকাশ করেন । কৃষকরা বলেন, গতবারের চেয়ে এবার ভালো মানের সার ও বীজ পেয়েছি । এ ফসলগুলো সঠিক সময়ে ঘরে তুলতে পারলে শাকসবজির দাম অনেকটাই কমে যাবে। কেননা, আমাদের উৎপাদন খরচ কম হলে, আমরা অল্প লাভেই সবজিগুলো বিক্রি করতে পারবো ।
ঘিওর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মাজেদুল ইসলাম জানান, কৃষকদের মাঝে চাহিদা মোতাবেক সরকারের বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করতে পেরে কৃষকের মুখে হাসি দেখে অনেক ভালো লাগছে । এ বছর সরকারের এ অনুদান ৮১৯০ জনের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে । যেখানে ৫০ জন গমচাষী, ৪০০ জন ভুট্টা চাষী, ৭২০০ জন সরিষা চাষী, ৪০ জন সূর্যমুখী চাষী, ১০০ জন পিঁয়াজ চাষী, ১০০ জন খেসারি চাষী, ৩০০ জন সবজি চাষীদের মাঝে বীজ,সার ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে । সকল ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সরকারি এ অনুদান সঠিকভাবে বিতরণ করতে পেরে কৃষকদের হাসি দেখে অন্যরকম তৃপ্তি ও আনন্দ উপভোগ করেছি । কৃষকদের সর্বোপরি সহায়তা করা হবে । মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সকল সমস্যা সমাধানে আমাদের দক্ষ কর্মী নিয়োজিত আছে । কৃষকদের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন সঠিকভাবে তাদের ফসলাদির যত্ন নেয় ।