ঢাকা   ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫) রুহুল কবির রিজভী আহমেদ-এর সাথে ভালুকা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ নবীনগরে নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌতুক প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আলোচনা সভা সোনারগাঁয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত বাজিতপুরে জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল কটিয়াদীতে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে জামায়াতের ছাগল বিতরণ কটিয়াদীতে আচমিতা ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান ও সাবেক সভাপতির পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই: ফখরুল ক্রিকেটার সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি গাজার ধ্বংসস্তূপে অবিস্ফোরিত বোমা সরাতে লাগবে এক দশক

মনোহরদীতে ঘরে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, নভেম্বর ৫, ২০২৪
  • 37 শেয়ার

নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীর মনোহরদীতে নিজ ঘরে ঢুকে আনিকা (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ভাগনিকে বাঁচাতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন তার খালা পাপিয়া সুলতানা (৪৯)।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে মনোহরদী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মনোহরদী সরকারি কলেজের পেছনের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আনিকা বেলাব উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের পোড়াদিয়া গ্রামের মৃত শাহজানা নূর আলমের মেয়ে। সে মনোহরদী কৃষ্ণপুর টেক্সটাইল ভোকেশনাল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আর খালা পাপিয়া সুলতানা মনোহরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মৃত আবদুস ছাত্তারের স্ত্রী। তিনি আনিকার স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
স্থানীয়রা জানান, পাপিয়া সুলতানার ছেলে আর মেয়ে কেউই বাড়িতে থাকে না। ছেলে বিদেশে ও মেয়ে নরসিংদীতে পড়াশোনা করেন। তিনি তার বোনের মেয়ে আনিকাকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করতেন। সোমবার বিকেলে চিৎকারের শব্দ শুনতে পেয়ে আশেপাশের লোকজন বাড়িতে গিয়ে ঘরের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় আনিকাকে মৃত ও খালা পাপিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ঘর থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাপাতি জব্দ করে। আর মরদেহের সুরতাল করে মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়।

নিহত আনিকার খালু মিজানুর রহমান মিলন বলেন, খবর পেয়ে বাড়িতে এসে আনিকাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। আর পাপিয়াকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কি নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হলো। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রেম সংক্রান্ত কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০