ঢাকা   ৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ২৪শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মতিন খানকে এফবিসিসিআই পরিচালক পদে দেখতে চায় পুরান ঢাকাবাসী

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, জানুয়ারি ৭, ২০২৫
  • 80 শেয়ার
মতিন খান, সমমনা পরিষদ অন্যতম শীর্ষ নেতা ও সভাপতি, বাংলাদেশ এমএস পাইপ এন্ড ফিটিংস্ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন 

বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
বাংলাদেশ পাইপ এন্ড টিউবওয়েল মার্চেন্টস এসোসিয়েশন সাবেক সভাপতি,পুরান ঢাকাতে অনেক জনপ্রিয় ব্যবসা নেতা মতিন খান। সম্প্রতি পাইপ এন্ড টিউবওয়েল মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। রব উঠেছে সুসংগঠক মতিন খানকে তারা এফবিসিসিআই পরিচালক পদে দেখতে চান।
মতিন খান এফবিসিসিআই’র জিবি সদস্য দু-যুগের বেশি সময় ধরে। ব্যবসা, সমাজসেবা এবং সামাজিক সংগঠনের সাথে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন। একই সাথে গুলশান ক্লাব লিমিটেড,নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেড,উত্তরা মডেল ক্লাব লিমিটেড, সিলেট ক্লাব লি: এর স্থায়ী সদস্য। ওয়ারি ক্লাবের সহ-সভাপতি, আলু বাজার বড় জামে মসজিদের উপদেষ্টাও তিনি।
দেশ-বিদেশের নানা অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ মতিন খান ২০১৮-২০ মেয়াদে এ সংগঠনের সভাপতির পালন করেন। দৈনিক বিজনেস ফাইলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পুরান ঢাকার এক সিনিয়র ব্যবসায়ী নেতা বলেন, মতিন খান আগামীতে এফবিসিসিআই তে নির্বাচন করলে আমরা তার পক্ষে থাকবো। মতিন খানের আয়োজনে এবার যে গজল সন্ধ্যা আমরা উপভোগ করেছি তা ইতিহাস হয়ে থাকবে কারণ তিনি একদিকে সুসংগঠক, অন্যদিকে সংস্কৃতি মনা। এরকম একজন ব্যক্তি এফবিসিসিআই তে ভীষণ প্রয়োজন। মতিন খান বলেন, চাটুকারিতা করেছে এমন নেতা বর্তমানে আমাদের শীর্ষ সংগঠন
এফবিসিসিআই’এ ভরে গেছে। বিগত দিনে এনবিআর আমাদের নিয়ে যে সাফ লুডু খেলা খেলেছে তাতে আমরা খুশি নই।
দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসেছে। আমাদের পন্য ভারতের সেভেন সিস্টারের সাতটি দেশে ঢুকতে হবে। বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৭০০ ডলারের কাঁচামাল আমাদের ১৩০০ ডলারে আনতে হচ্ছে। আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। একথা আমরা এনবিআরকে বোঝাতে ব্যর্থ হচ্ছি বারবার। আবার ধরেন ষে মাল একবারে আনা যায় ডলারের সংকটের কারণে আমাদেরকে তা দুই তিনবারে আনতে হচ্ছে।
এতে করে ব্যবসায়ীদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হচ্ছে না। সময়োপযোগী বাস্তব পদক্ষেপ যারা নিতে পারবেন ভ্যাট,কাস্টমস, কর,ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদি বিষয়ে যারা কাজ করতে পারবেন তাদেরই পরিচালক পদে নির্বাচিত হওয়া উচিত। সরকারের সাথে বার্গেনিং করে আমাদের ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধান করতে হবে।
তিনি বলেন সভাপতি,সহসভাপতি সহ সকল পদে ভোট, অটো প্রথা চিরতরে বিলুপ্ত করা দরকার। জিবি সদস্যদের মর্যাদা বৃদ্ধি, এফবিসিসিআই দপ্তরকে গতিশীল ও আধুনিক মানসম্পন্ন করা, গবেষণা সেল গঠন করতে হবে। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিতে হবে। প্রয়োজনে অসৎব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে হবে, এফবিসিসিআই থেকে বহিষ্কার করতে হবে। দ্রব্যের মূল্য বাড়াতে হলে মিটিং করে কমপক্ষে এক মাস আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এফবিসিসিআই স্টাডিং কমিটি গুলো শক্তিশালী করতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০