ঢাকা   ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কদমতলী থানার ৫২নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি করেও প্রতিষ্ঠানে এখনো বহাল প্রধান শিক্ষক-হাফিজুর রহমান দ্রুত সংস্কার শেষে এফবিসিসিআই নির্বাচন দিন আজিমপুর গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী ও ঠিকাদার সমিতির নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা কিশোরগঞ্জে প্রাথমিকের অধিকাংশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা বই না পেয়ে হতাশায় ভালুকায় শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫) রুহুল কবির রিজভী আহমেদ-এর সাথে ভালুকা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ নবীনগরে নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌতুক প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আলোচনা সভা সোনারগাঁয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত

বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি করেও প্রতিষ্ঠানে এখনো বহাল প্রধান শিক্ষক-হাফিজুর রহমান

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, জানুয়ারি ২১, ২০২৫
  • 13 শেয়ার

শাহীন খান, রাজশাহী প্রতিনিধি
দুর্গাপুর উপজেলা দাওকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান হাফিজের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে পূর্বে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও তিনি এখনও স্থানীয় কথিত বিএনপি নেতা কর্মীদের বিভিন্নভাবে সমঝোতা করে প্রতিষ্ঠানে বহাল থেকে একের পর এক অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন এমন টায় অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা বলেন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিত্য বাবুর থেকে শুরু করে অতীতে যে সকল প্রধান শিক্ষক ছিলেন তাঁদের সময় হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী ছিল দাওকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে । বর্তমান প্রধান শিক্ষকের কারণে আজ এই প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের কবলে।
এই বিদ্যালয়ে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪০০ জন অথচো ২০০৮ সালে শুধু এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ৩০০ জনের উপরে এমনটা দাবি করেন ২০০৮ সালের পরিক্ষায় অংশগ্রহণ কারী স্থানীয় এক ব্যক্তি । তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে হাফিজ মাষ্টার এলাকার বিএনপি নেতা কর্মীদের ঘরবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজি করেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করায় টাকা ও ক্ষমতার দাপটে হয়ে যান প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় ব্যক্তি সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা প্রমাণ চাইলে পারিলা গ্রামের হাজী মোঃ শামসুল হকের বাড়িতে গেলে ভাংচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজির সকল তথ্য প্রমাণ পেয়ে যাবেন, ২০০৯ সালে হাফিজ মাষ্টার এই নেক্কার জনক ঘটনা ঘটন । ২০১৯ সালে এই হাফিজ মাষ্টার হাজী শামসুল হকের ছোট ছেলের কাছ থেকে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নেন ।
উল্লেখ্য, হাজী মোঃ শামসুল হক দুর্গাপুর উপজেলা ৭ নং ইউনিয়ন বিএনপির ১৬ বছরের সাবেক সহ-সভাপতি।

স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা বলেন, তাদের সকলের কাছ থেকে প্রশংসাপত্র বাবদ ৪০০- ৫০০ টাকা করে গ্রহণ করছেন প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান । অপর দিকে বিদায়ী ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে নিয়েছেন ১৬০ টাকা করে ।

জানা যায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জায়গায় রয়েছে ৫৬ টি দোকান সেই দোকান গুলো থেকে প্রতি মাসে প্রতিষ্ঠানের নামে ভাউচার দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন তিনি ।

প্রতিষ্ঠানের নামেই আবাদি জমি রয়েছে ও রয়েছে ২টি পুকুর । সেগুলো লিজ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান ।

দাওকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের এতগুলো সম্পত্তি ও দোকান ঘর থাকার পরেও প্রতিষ্ঠানে কোন দৃশ্যমান উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি । প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও সেচ্ছা চারিতা নিয়ে পূর্বেও একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তার এমন অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
তাদের দাবি, শীঘ্রই এমন দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষককে অপসারণ করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার ।
দাওকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভাউচার করে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টাকা উত্তোলনের বিষয় জানতে চাইলে দোকান মালিকরা বলেন, আমরা যারা ছোট দোকানদার রয়েছি তাদের নিকট থেকে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা গ্রহণ করেন। বড় দোকানগুলো থেকে ১০০০ টাকা করে স্কুলের নামে ভাউচার দেখিয়ে গ্রহণ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষরা।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, হাফিজ মাষ্টারের ছিল আওয়ামী লীগের এমপি, মন্ত্রী ও উচ্চ পর্যায়ের দলীয় নেতাদের সাথে ছিল দহরম-মহরম সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের কারণে এলাকায় চাঁদাবাজি, স্কুলের নিয়োগ বাণিজ্য ও স্কুলের সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে হয়েছেন কোটি পতি।
নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে দাওকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের বলেন , যে সকল অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উঠেছে সেগুলো মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট। প্রতিষ্ঠানের নামে যে দোকানগুলো রয়েছে ও পুকুর,আবাদি জমি আছে সেগুলো লিজ দিয়েছি ও দোকান ঘরগুলো টাকা ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ফান্ডে রেখেছি। এই টাকাগুলো আমরা প্রতিষ্ঠানের কাজেই ব্যয় করি। আর সেশন ফ্রী বাবদ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার উত্তলনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এই টাকাগুলো গ্রহণ করি সেটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবগত আছেন।

দাওকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় জানতে চেয়ে দুর্গাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার কে মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়গুলো আমি অবগত ছিলাম না অবগত হলাম তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০