চলতি বছর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) হচ্ছে না। রোববার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন এই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ বছর তো আর হচ্ছে না। সামনের বছরেরটা দেখা যাবে। সেটাও পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। কোনো খেলাই আমরা বাদ দিতে চাচ্ছি না। আমরা সবগুলোই ফেরাতে চাচ্ছি। কিন্তু সবকিছুই আসলে পরিস্থিতির ওপর।’
প্রেসিডেন্টস কাপ, টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট কিংবা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও বিপিএলের সম্ভাবনা সরাসরি উড়িয়ে দেয়ার কারণটাও ব্যাখ্যা করেন পাপন। বিপিএলে সব দলে অন্তত ৭-৮ জন করে আসেন বিদেশি খেলোয়াড়। করোনা পরিস্থিতির কারণে ঠিক কতজন খেলোয়াড়কে পাওয়া যাবে কিংবা তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার বিষয়টাও খুব জটিল।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে বিপিএল আয়োজনের চিন্তা নেই বোর্ডের। রোববার প্রেসিডেন্টস কাপের দ্বিতীয় ইনিংস চলাকালীন করা সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি। যেখানে বিপিএল ছাড়াও উঠে এসেছে দেশে ক্রিকেট ফেরানো নিয়ে বিসিবির বিস্তারিত পরিকল্পনা।
বিপিএলের সম্ভাবনা নাকচ করে দেয়ার কারণ হিসেবে পাপনের ভাষ্য, ‘বিপিএল আয়োজন করতে হলে বিদেশি খেলোয়াড় অবশ্যই রাখতে হবে। তাদের নিরাপত্তার বিষয় আছে। এছাড়া টিভি প্রোডাকশনেরও একটি বিষয় আছে। বিপিএলে খেলোয়াড় সংখ্যা, টিম ম্যানেজম্যান্ট- সবই অনেক বেশি। এটা সামাল দেয়া যাবে কি না তা এখনই বলা সম্ভব নয়।’
করোনাভাইরাসের কারণে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ত্রয়োদশ আসর ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে আরব আমিরাতে। সেখানে বেশ সফল ও নিরাপদভাবেই চলছে টুর্নামেন্টের খেলাগুলো। বাংলাদেশও কি বিপিএলের জন্য এমন কিছু করতে পারে? এ বিষয়ে বোর্ডের কোনো চিন্তা-পরিকল্পনা কি আছে? উত্তরে হেসে ওঠেন পাপন, যাতে স্পষ্ট বোঝা যায় বিদেশের মাটিতে বিপিএল করার মতো সক্ষমতা বোর্ড কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নেই।
এ বিষয়ে বোর্ড সভাপতি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এটা সহজ নয়। কী বলবো এখানে! বাংলাদেশে চালাতে গিয়েই আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে ১-২টি বাদে বাকিদের কিন্তু বেশ কষ্ট হয়। সেখানে বাইরে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে কারো পক্ষে সম্ভব বলে আমাদের মনে হয় না।’