বাজিতপুর প্রতিনিধি
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বাজিতপুর-উজান সড়কের পিরিজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ‘গত ১৯ অক্টোবর কৃষক নিবু মিয়াকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।তদন্ত কর্মকর্তা তার তদন্তে গাফিলতি করেছে। ভুক্তভোগী পরিবারকে নানা ভাবে ভয় দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। চার্জশিট দেয়ার নাম করেও টাকা নিয়েছে ওই তদন্তকারী কর্মকর্তা। যে তদন্ত কর্মকর্তা জড়িত ছিল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ঘটনায় যারা ছিল তাদের অনেককে এখন পযন্ত আটক করা হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মামলার শুরুতে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য একজন আসামিকে আটক করার পর তার জবানবন্দির মাধ্যমে নিহতদের এক ছেলেকে আটক করা হয়। এক মাসের মধ্যে প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে আবারও আন্দোলনে নামা হবে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে নিহতের ছেলেকে দ্রæত সময়ের মধ্যে জামিন দিতে হবে।’ নিহত নিবু মিয়ার ছেলে হৃদয় বলেন,আমার বাবার হত্যার সঠিক বিচার চাই। আগের তদন্ত কর্মকর্তা সঠিক ভাবে তদন্ত করে নাই, তাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মূল অপরাধীদের আটক করে বিচারের মুখোমুখি করা হোক। আমার ভাই জড়িত নয়,আমার ভাইকে মুক্তি দেয়া হোক। নিহতের স্ত্রী আলেহা খাতুন বলেন,আমার স্বামী সহজ সরল মানুষ, কোনো দিন কারও ক্ষতি করে নাই। আমার স্বামীকে যারা খুন করেছে তাদের ফাঁসি চাই আমি। আমার নিরপরাধ ছেলের মুক্তি চাই। এ সময় বক্তব্য দেন নিহতের মেয়ে পারভীন আক্তার, নিহতের বড় ভাই আব্দুর রাশিদ, গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক ইমতিয়াজ কাজল, কটিয়াদি উপজেলার সাবেক আহ্বায়ক আলীউজ্জামান মহসিন, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ হাসান আহমেদ রমজান, এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য দেন ফখরুল ইসলাম, বিলকিস আক্তার, কাইয়ুম মেম্বার, নাদিম খান প্রমুখ।
গত ১৯ অক্টোবর রাতে বাড়ি থেকে ওষুধ কিনতে বের হয়ে নিখোঁজ হন বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের কৃষক নিবু মিয়া। পরদিন ২০ অক্টোবর দুপুরে একই এলাকার তেলিবাড়ির কৃষিজমি থেকে তার জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিনই নিবু মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান হৃদয় (২৮) বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় নিবু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়াসহ দুজনকে আটক করে পুলিশ।