বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংস্কার কমিটির অন্যতম সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন দৈনিক বিজনেস ফাইলকে বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি : উচ্চ মূল্য স্ফীতি, সংকুচিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে আমদানি অপর্যাপ্ত। ফলে শিল্প কারখানায় উৎপাদন ও ব্যবসা এবং কর্মসংস্থান সংকুচিত। অধিকাংশ জনগোষ্ঠির আয়প্তর নিম্নমূখী। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সংকুচিত রিজার্ভ, অপর্যাপ্ত আমদানি আর্থিক খাতের সংকট। এসবের প্রভাবে সংকুচিত অর্থনৈতিক কর্মকান্ড, নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধি, অপর্যাপ্ত রাজস্ব আয়, ঘাটতি ব্যয়, উন্নয়ন বাজেটের সংকুচিত বরাদ্দ, ক্রমবৃদ্ধিশীল জাতীয় ঋন ইত্যাদি জাতীয় অর্থনীতিকে ব্যাপক চাপে রেখেছে। তার উপর ট্যাক্স, ভ্যাটের চাপতো আছেই।
২। ব্যাপক জাতীয় ঋণ, ঘাটতি ব্যয় হতে উত্তরন, ভৌত ও সামাজিক খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হলে সরকারের আয় বৃদ্ধির কোন বিকল্প নাই। সরকারের আয় মাত্র ৪.২০ লক্ষ কোটি টাকার (গত বছরে) মতো। আর ব্যয় ৭.০০-৭.৫০ লক্ষ কোটি টাকা। ঘাটতি প্রায় ৩.০০ লক্ষ কোটি টাকা। সরকারের আয়ের (৪.২০ লক্ষ কোটি টাকার) মধ্যে প্রায় ৩.৭০ লক্ষ কোটি টাকা অর্থাৎ প্রায় ৮৮ শতাংশই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভ্যাট-ট্যাক্স এর মাধ্যমে আদায় করে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভ্যাট-ট্যাক্সের যে সম্ভাবনা- তাতে প্রায় ৭.০০ লক্ষ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব- যদি সবাই ঠিকমতো কর দেয়। তবে ভ্যাট- ট্যাক্স রাজস্বের মাধ্যে আমদানি শুল্ক কর ও স্থানীয় ভ্যাট এর পরিমানই বেশি, কর প্রায় ৬৮ শতাংশ। আয়কর মাত্র ৩২ শতাংশ। রাজস্বের মধ্যে আয়কর হওয়া উচিৎ ন্যূনতম ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ৩.৫০ লক্ষ কোটি টাকা। আর শুল্ক ও ভ্যাট হওয়া উচিৎ ৩.৫০ লক্ষ কোটি টাকা। সেটা হলেই অর্থনীতিও ভালো থাকবে, সাধারণ মানুষও ভালো থাকবে। ঐ রকম পরিবেশ সৃষ্টি করতে হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ব্যাপক সংস্কার দরকার। বর্তমান সরকার কর্তৃক গঠিত সংস্কার কমিটি সে কাজই করছে।