মোহাম্মদ খলিলুর রহমান
বিদায় আওয়ামী স্বৈরশাসকরা এখনও ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। প্রশাসনের উপরে যারা রয়েছে তাদের মধ্যে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা এখনো রয়েছে। বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকার বিফল হলে বাংলাদেশে আবারো ভারতীয় কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত হবে । যারা ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে ছিল তারা সবাই আমাদের বন্ধু। জামায়াত নির্যাতিত দল। তারা আমাদের বন্ধু। যারা ফ্যাসিজমকে সহযোগিতা করেছে-জাতীয় পার্টি, ১৪ দল তারা আমার বন্ধু না। বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিজম ও ফ্যাসিস্ট শাসকদের চিরতরে নির্মূল করতে ঐক্যর বিকল্প নাই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর নিজ আসন কিশোরগঞ্জ-৫ (-বাজিতপুর-নিকলী) মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদা বলেন, ‘রাজনীতিতে কিছু কৌশল থাকে। সব কৌশল সব জায়গায় বলাও যায় না। আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে আমাদের আরেকটি মিত্র দল হিসেবে দেখি। আমরা জামায়াতের সঙ্গে মহাঐক্য চাই। তবে তারা যদি চায় আলাদা নির্বাচন করবে সেটাও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।
সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘আমি জাতীয়তাবাদী আদর্শের একজন। আমার নেতা তারেক রহমান। উনি জাতীয়তাবাদী আদর্শের সর্বোচ্চ নেতা। ঝাণ্ডাটা উনার হাতে। আমি ওই জোটের অন্যতম মিত্র দল। আমি বিএনপির নেতাকর্মীদের মোকাবিলা করতে আসি নাই। তারা আমার ভাই, তারা আমার বোন, তারা আমার চাচা। তাদের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। মোকাবিলার প্রশ্নই আসে না। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করবো।’
জানা গেছে, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদার সংসদীয় এলাকা কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে জনসংযোগ ও দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সহযোগিতা করতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
গত ২২ অক্টোবর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সই করা এক চিঠিতে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে এ বিষয়ে জানানো হয়।
চিঠিতে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তাই সৈয়দ এহসানুল হুদার সংসদীয় এলাকা কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে জনসংযোগ ও দলের সাংগঠনিক সার্বিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
তিনি বলেন, আজকে আমরা নতুন সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখছি। এই দেশটাকে একটা ধ্বংস স্তূপে পরিণত করা হয়েছিল। তাই বর্তমান সরকারের অনেকগুলো দায়িত্ব রয়েছে। অনেকেই অস্থির হয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু আমি হচ্ছি না। আমি মনে করি তারা সঠিক কক্ষ পথে আছেন। বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন। আশা করি মৌলিক সংস্কার করে নির্বাচন দিবেন বর্তমান সরকার।
জাতীয় দলের চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের প্রায় তিন মাস হয়েছে। তারা এখনো সব ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। দেশ এখনো অস্থিতিশীল নয়। প্রশাসনের উপরে যারা রয়েছে তাদের মধ্যে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা এখনো রয়েছে। এই পথচলা এতো সহজ না। এইটা ভাঙতে গেলে আমাদের ইস্পাতের মতো কঠিন হতে হবে। আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিজম ও ফ্যাসিস্ট শাসকদের চিরতরে নির্মূল করে দেওয়া। সে যে দলের হোক না কেন।