বিশেষ প্রতিবেদক
রাজধানী জুড়ে হাউজিং ব্যবসায় প্রতারনার আখড়া এখন মানুষের মুখে মুখে। প্রতারকরা নানান বেশ ধরে প্রতারনার মাধ্যমে রাতারাতি অর্থ কামিয়ে ধনী হয়ে যাচ্ছে কেউ কেউ। এমনই এক প্রতারক মনিরুজ্জামান মনির। ক’ বছর আগে ও ঢাকায় যার রাত যাপনের ঠিকানা ছিল না আজ তার কাছে শত কোটি টাকা। চড়েন দামী গাড়িতে, বিলাসবহুল জীবন তার। নিজেকে পরিচয় দেন একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে । বসবাস করেন দামী ফ্ল্যাটে। মৌচাক মালিবাগ জুড়ে তার ৮/ ১০ টি ওয়েল ডেকোরেটেড অফিস। একটি সূত্র জানায় মগবাজার সহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে গোপন হেরেম খানা। কথা হচ্ছে এত দ্রুত তিনি ধনী হলেন কি করে? উত্তর হলো তিনি প্লট ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারনা করে টাকা কামাচ্ছেন। তার কর্ম হচ্ছে পেশাজীবী মানুষ ফুসলিয়ে প্লট বা ফ্ল্যাটের ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে টাকা আত্নসাৎ করা। নিরীহ প্লট- ফ্ল্যাট গ্রহীতাদের টাকায় তার এই বিলাসী জীবন! টাকা কামিয়ে তিনি যোগদেন পতিত আওয়ামী লীগ’র প্যাড সর্বস্ব ভূয়া সংগঠন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনে। এই সংগঠনের পিছনে তিনি খরচ করেছেন অনেক টাকা। ঘোষণা দেন তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলার শ্রীবরর্দী আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। তারা মানুষদের ডেকে নিয়ে অহেতুক কারনে হুমকি ধামকি দিতো,ক্ষমতা জাহির করতো। মনির এসব সন্ত্রাসীদের টাকা দিয়ে লালন পালন করতেন। তিনি যেসব আবাসন প্রকল্পের নাম করে কোটিকোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তার সবই ভুয়া।এসব প্রকল্পের কোনো সরকারী অনুমোদন নেই। কিছু অপ্রয়োজনীয় সংস্থার কাগজপত্র ঘুষ দিয়ে বের করেছেন। এসব কাগজপত্র দেখিয়ে তিনি দেদারছে প্রতারণা করে চলছে। তার সকল প্রতারণার লাগাম টেনে ধরার সময় এখন এসে গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাতির চোখ খুলে দিয়েছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি সেক্টরে প্রতারকদের চিহ্নিত করার সময় এসেছে। এসব চিহ্নিত প্রতারকরা ভোল পালটিয়ে জেনো পরবর্তীতে রাজনীতিতে ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হ বে। তার হাতে থাকা সকল সম্পত্তি সাধারণ গ্রাহকদের ফিরিয়ে দিতে হবে। পেশাদার প্রতারক মনিরুজ্জামান মনিরের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের নজরে দেয়া হলো।