ঢাকা   ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ৩রা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রিয় ভোটারবৃন্দ, বিশ্বাস রাখুন এবার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করব: ব্যবসায়ী নেতা রবিউল হক বাদশা

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : বুধবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
  • 7 শেয়ার
রবিউল হক বাদশা, প্যানেল লিডার, সম্মিলিত প্যানেল, বাংলাদেশ পাইপ এন্ড টিউবওয়েল মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (নির্বাচন ২০২৪-২০২৬)

হিল্লোল কল্লোল
রাজধানী ঢাকার প্রিয় মুখ তরুণ ব্যবসায়ী নেতা । শক্তিশালী ভিত আছে এমন এক তরুণ ব্যবসায়ীর কথা বলছি। এফবিসিসিআইয়ের জিবি সদস্য, বাংলাদেশ পাইপ এন্ড টিউবওয়েল মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের একাধিকবার নির্বাচিত সভাপতি রবিউল হক বাদশা।
সহকর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তি তিনি। সংগঠনের সদস্যদের ভালবাসেন হৃদয় উজাড় করে।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সংগঠনের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন (২০০২৪-২৬)। নির্বাচন ঘিরে সংগঠন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্তমানে ব্যস্ত দেশের বিভিন্ন স্থানের ভোটারদের নিয়ে। নানা ব্যস্ততার মাঝেও দৈনিক বিজনেস ফাইল পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন আমরা সদস্যদের চাহিদার প্রেক্ষাপটে প্রচুর কাজ করেছি। সত্যি বলতে কি সবকিছু ব্যাট বলে নাম মিললেও সংগঠনের জন্য অনেক কাজ হয়েছে। যতটুকু বাদ রয়েছে সেটুকু আগামীতে করবে আমাদের সম্মিলিত পরিষদ। তিনি বলেন আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে আমাদের সম্মিলিত প্যানেল খুব ভালো রেজাল্ট করবে বলে আমার বিশ্বাস। সম্মানিত ভোটারদের আমাদের ওপর সে আস্থা রয়েছে।
পাইপ এন্ড টিউবওয়েল মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সংগঠনের ব্যবসায়ী ভাইদের জন্য উন্নয়নমুখী একটা সংগঠন। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, বিল্ডিং এমনকি দেশের সকল স্থাপনায় কোনো না কোনোভাবে পাইপ টিউব সামগ্রী প্রয়োজন হয়। তাই আমাদের এ সেক্টরের ব্যবসায়ীদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে আমরা নিরন্তর কাজ করে চলেছি।
সংগঠনের প্রতিটি সদস্য আমাদের ভাই। সুখে-দুখে আমরা তাদের সাথে একসাথে কাজ করি। সরকারের কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে, আমরা নিজেরা আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত কি হবে তা নির্ধারণ করি। সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার এসব বিষয়ে আমরা শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই থেকে সে ধরনের কোন সহায়তা পাচ্ছি না। আমাদের অনেক প্রত্যাশা ছিল, সেগুলো অনেক গুলো বাস্তবায়ন করতে পারিনি।
প্রশ্ন:বর্তমানে এফবিসিসিআই সংস্কার বিষয়ে আপনার মনোভাব কি?
উত্তর:আমরা এফবিসিসিআই’র সংস্কার চাই। সভাপতি,সহ-সভাপতি সহ সকল পদে নির্বাচন চাই। বিগত দিনে কেউ কেউ রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছে। অতিরিক্ত চামচামিটা জিপি সদস্যরা ভালোভাবে দেখেনি। বিগত কয়েকটাম ধরেই সভাপতি নির্বাচিত হতে জিবি সদস্যের ভোট প্রয়োজন হয়নি। গত কয়েক টামে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন অটো পরিচালকদের মধ্য থেকে। নির্বাচনের পর অনেক পরিচালকই তাদের সভাপতির কাছে পাত্তা পাননি। সেখানে জীবী সদস্যদের তো কথাই নেই।এতে আমাদের ভ্যাট সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হয়নি। আমরা বারবার বলেছি আমরা যখন আমাদের উৎপাদিত পণ্যের কাঁচামাল ইমপোর্ট করি,তখন আমরা ভ্যাট দেই। যখন এক্সপোর্ট করি তখনও আমাদের এনবিআর নির্ধারিত হারে অনেক কিছু পরিশোধ করতে হয়। ধরেন আমি একটা অন্য বিক্রি করলাম এ সময় ভাত দিলাম। উনি যখন একজন বিক্রেতার কাছে অন্যদিকে ঘুরলেন তখন তাকে ভ্যাট দিতে হলো। একই পণ্যের ভ্যাট তো দুবার হতে পারে না। লোকাল পাবলিক বা ক্রেতারা বার বার ভ্যাট দিতে চায় না। একথা সরকার বা এনবিআর কর্মকর্তারা শোনেন না।
এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দ আমাদের উপরে চাপিয়ে দেয়া অতিরিক্ত ভ্যাট সমস্যার সমাধান করে দিতে পারেনি। আমাদের ভোটে যারা নির্বাচিত সভাপতি, সহ-সভাপতি ও পরিচালক নির্বাচিত হন তাদের রাজনৈতিক চরিত্র থাকায় তারা সরকারের সাথে বার্গেনিং করতে পারেন না।

প্রশ্ন:কোন কোন দেশে বাংলাদেশের পাইপ ও টিউবয়েল রিলেটেড পণ্য যাচ্ছে?
উত্তর:আমাদের উৎপাদিত পণ্যের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে দেশে বাইরে। বিশেষ করে নেপাল, শ্রীলংকা, আফ্রিকাতে আমাদের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা। এছাড়া বিশ্বের প্রায় ৫০ টি আমাদের দেশের পন্য রপ্তানি হচ্ছে। প্রশ্ন:দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কি করণীয় আছে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর:আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরের বিশাল একটা জায়গা রয়েছে। কাঁচামাল এবং ফিনিশ প্রডাক্ট দুটোই ডলারের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করা হয়। এ ব্যাপারটা না থাকলে ডলার রেট ১২০-২৫ টাকার পরিবর্তে হতো ৮০-৯০ টাকা।
ধরুন ঢাকার বাইরে থেকে কাঁচামাল, সবজি ইত্যাদি ঢাকাতে আসতে পেট্রেোল, অকটেন ইত্যাদি ধরনের জ্বালানি তেল প্রয়োজন হয়। ডলারের মাধ্যমে সেগুলো আমাদের ক্রয় করতে হয়। ডলারের উচ্চ মূল্যের কারণে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়াও পথে চাঁদা মধ্যসত্ব ভোগী রয়েছে। জ্বালানির দাম কমলে আট হাজার টাকার ট্রাক ৬০০০ টাকায় পাওয়া যাবে।তখন দ্রব্যমূল্যের দাম কমে যাবে।
প্রশ্ন:দ্রব্যমূল্য কমানোর কোন পদক্ষেপ আছে কি?
উত্তর : এফবিসিসিআইতে বর্তমানে প্রশাসক রয়েছেন। দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতির জন্য এখন সরকার কার সাথে বসবে। প্রশাসক মহোদয় যদি বিগত পরিচালনা পর্ষদ থেকে অন্তত বিশ জনকে মনোনীত করে দায়িত্ব দিতে পারেন।একই সাথে মনিটারিং কমিটি যদি কাজ করতে পারে তাহলে হয়তো মূল্য নিয়ন্ত্রণ আসতো। এখন চারজনকে প্রশাসকের সহায়ক সদস্য নেওয়া হয়েছে। তারা তো সংস্কার নিয়ে কাজ করছে।
এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার সময়। সবশেষে ভোটারদের কে বলবো সম্মিলিত পরিষদের পুরো প্যানেলকে বিজয়ী করুন। বিগত দিনে আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ভ্যাট সহ অন্যান্য যে বিষয়গুলো অত্যন্ত জরুরী তা করতে পারব ইনশাল্লাহ। না পারলে আর কখনো আপনাদের আছে ভোট চাইবো না। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
বিশ্বাস রাখুন আমরা সবাই আপনাদের সেবক হবো।
আবারো ধন্যবাদ প্রিয় ভোটার ভাইদের।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০