ঢাকা   ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

প্রকাশ্যে গায়ে আগুন ধরিয়ে পত্রিকা সম্পাদকের আত্মহত্যা

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : শনিবার, অক্টোবর ৩, ২০২০
  • 97 শেয়ার
ইরিনা স্লাভিনা
ইরিনা স্লাভিনা

রাশিয়ার নিঝনেই নোভগোরোদ শহরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি অফিসের সামনে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন একটি পত্রিকার সম্পাদক। মৃত্যুর আগে ইরিনা স্লাভিনা নামের ওই সম্পাদক ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য আমি আপনাদের রাশিয়ান ফেডারেশনকে দায়ী করতে বলছি।’

তার মৃতদেহ তীব্রভাবে দগ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।

ইরিনা স্লাভিনা একটি নিউজ ওয়েবসাইটের প্রধান সম্পাদক ছিলেন। এর মূলমন্ত্রটি হলো- ‘সংবাদ ও বিশ্লেষণ’ এবং ‘সেন্সরশিপ নয়’। শুক্রবার তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত বছর স্লাভিনাকে একটি নিবন্ধে ‘কর্তৃপক্ষের অসম্মান’ করার অভিযোগে তাকে জরিমানা করা হয়েছিল।

গোর্কি স্ট্রিটের (যেখানে নিঝনেই নোভগোরোদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিস অবস্থিত) একটি বেঞ্চে ওই সম্পাদকের নিজের গায়ে আগুন দেওয়ার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ পেয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুরুষ এক নারীর গায়ে জ্বলতে থাকা আগুন নেভাতে দৌড়ে যান। এ সময় ওই নারী তাকে বারবার দূরে ঠেলে দিচ্ছিলেন। কিন্তু নারীটি মাটি পড়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আগুন নেভাতে নিজের গায়ের জামা ব্যবহারের চেষ্টা করেন পুরুষটি।

বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টে স্লাভিনা বলেছিলেন, গণতন্ত্রপন্থী একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও এ সম্পর্কিত তথ্য জানতে পুলিশ তার ফ্ল্যাটে অনুসন্ধান চালিয়েছে। এ সময় তার কম্পিউটার ও নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে। তিনি লেখেন, ১২ জন লোক তার ফ্ল্যাটে জোর করে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা তার ফ্ল্যাশ ড্রাইভ, তার ও তার মেয়ের ল্যাপটপ এবং স্বামীসহ তাদের তিনজনের ফোন জব্দ করেন।

দেশটির তদন্ত কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, ইরিনা স্লাভিনা স্বামী ও মেয়েকে রেখে মারা গেছেন। তবে তার ফ্ল্যাটে অনুসন্ধানের সঙ্গে কোনো সংযোগ অস্বীকার করেছে কমিটি। তদন্ত কমিটির একজন মুখপাত্র রিয়া নভোস্টি জোর দিয়ে বলেন, স্লাভিনা তাদের মামলায় কেবল সাক্ষী ছিল। মামলা তদন্তে সন্দেহভাজন বা অভিযুক্ত কেউ নন।

এ ফৌজদারি মামলাটি স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে, যিনি বিভিন্ন বিরোধী গ্রুপকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য কার্যক্রমে তার চার্চটি ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিলেন। ওই ব্যক্তির নাম মিখাইল আইওসিলেভিচ, যিনি ২০১৬ সালে তথাকথিত ফ্লাইং স্প্যাগেটি মনস্টার গির্জাটি তৈরি করেছিলেন এবং যার অনুসারীদের পাস্তাফেরিয়ান বলে অভিহিত করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০