হিল্লোল কল্লোল
পুরান ঢাকায় জনপ্রিয় নাম মতিন খান। তিনি এফবিসিসিআই’র জিবি সদস্য দু’যুগের বেশি সময় ধরে। ব্যবসা, সমাজসেবা এবং সামাজিক সংগঠনের সাথে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন। একই সাথে গুলশান ক্লাব লিমিটেড,নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেড, উত্তরা মডেল ক্লাব লিমিটেড, সিলেট ক্লাব লি: এর স্থায়ী সদস্য। ওয়ারি ক্লাবের সহ-সভাপতি, আলু বাজার বড় জামে মসজিদের উপদেষ্টাও তিনি।
দেশ-বিদেশের নানা অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ মতিন খান ২০১৮-২০ মেয়াদে এ সংগঠনের সভাপতির পালন করেন। এবারের নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী। তিনি বলেন এবারে প্যানেল নেতা সোলাইমান পারসি ফয়সাল। বাংলাদেশ পাইপ এন্ড টিউবওয়েল মার্সেন্ট এসোসিয়েশন (২০২৪-২০২৬) ভোটার সংখ্যা ২৫২৩ জন।
মতিন খান বলেন দৈনিক বিজনস ফাইল প্রতিনিধিকে বলেন আমাদের সদস্যরা খুবই প্রাণবন্ত। তারা সংগঠনকে খুবই গুরুত্ব দেন। আমরা প্রত্যেকেই একই অপরের সুখে দুখে মিলে মিশে আছি। ভোটারবৃন্দ তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সমমনা পরিষদকে এবার পূর্ণ প্যানেলে বিজয় করবে বলে আমার বিশ্বাস ।
প্রশ্ন: কেন সমমনা পরিষদ কে বিজয়ী করবে সদস্যরা? উত্তর: আমি বিশ্বাস করি বর্তমানে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তারা আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি।আশ্বাস দিয়েছেন বারবার কাজ হয়নি। শুধু চাটুকারিতা করেছেন কেউ কেউ। আমরা সংগঠনকে একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়ে যেতে চাই। বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষ পরিবর্তন চায়।
বর্তমানে আমাদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এ সংস্কার প্রস্তাব এসেছে। বিগত দিনে এনবিআর আমাদের নিয়ে যে সাফ লুডু খেলা খেলেছে তাতে আমরা খুশি নই।
দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসেছে।আমি মনে করি এ প্যানেল বিজয়ী হলে আমরা আসলেই আমাদের সদস্যদের জন্য কাজ করতে পারব।
প্রশ্ন:সমমনা পরিষদ মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ের ব্যাপারে আপনি কতটা আশাবাদী ?
উ:আমিতো এই সংগঠনের সভাপতি ছিলাম।সদস্যদের মনের ভাষা আমি বুঝি। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮২ সালে। আমাদের টিও লাইসেন্স নং ৭। দেশের অবকাঠাময় উন্নয়ন, রিয়েল এস্টেট খাতসহ বিদেশেও আমাদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। শরীফ মেটাল, ছাতার মেটাল, তানভীর মেটাল, আসমা মেটালের মত প্রতিষ্ঠানও অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান আমাদের সদস্য। আমাদের উৎপাদিত পণ্যের নেপাল, ভুটান, আফ্রিকাতে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সেভেন সিস্টারের সাতটি দেশে আমাদের পণ্য ঢুকবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। বর্তমানে ৭০০ ডলারের কাঁচামাল আমাদের ১৩০০ ডলারে কিনতে হচ্ছে। আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। একথা আমরা এনবিআরকে বোঝাতে ব্যর্থ হচ্ছি বারবার। আবার ধরেন ষে মাল একবারে আনা যায় ডলার সংকটের কারণে আমাদেরকে তা দুই তিনবারে আনতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমান সভাপতি সংগঠনের জন্য অতটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারেননি। সমমনা পরিষদ বিজয়ী হলে সদস্যদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে বলে আমার বিশ্বাস। প্যানেল প্রধান সোলাইমান পারসি ফয়সল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স। সাংগঠনিক ব্যক্তি তিনি। তিনি এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, দুইবার কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি সময়োপযোগী বাস্তব পদক্ষেপ নিতে পারবেন ভ্যাট,কাস্টমস, কর,ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদি বিষয়ে। সরকারের সাথে বার্গেনিং করে আমাদের সংগঠনের সদস্যদের জন্য ইতিবাচক কিছু করতে পারবে বলে আমি মনে করি।
প্রশ্ন :এফবিসিসিআই সংস্কার ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কি করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর:সভাপতি,সহসভাপতি সহ সকল পদে ভোট, অটো প্রথা চিরতরে বিলুপ্ত করা দরকার। জিবি সদস্যদের মর্যাদা বৃদ্ধি, এফবিসিসিআই দপ্তরকে গতিশীল ও আধুনিক মানসম্পন্ন করা, গবেষণা সেল গঠন করতে হবে। সিন্ডিকেট করা অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এফবিসিসিআইকে। প্রয়োজনে এফবিসিসিআই থেকে বহিষ্কার করতে হবে। দ্রব্যের মূল্য বাড়াতে হলে মিটিং করে কমপক্ষে এক মাস আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটি গুলো শক্তিশালী করতে হবে। যে যে বিষয়ে অভিজ্ঞ তাকে সে বিষয়ে দায়িত্ব দিতে হবে।
প্রশ্ন: সর্বশেষ কি বলবেন?
উত্তর : আগামী ২৮ডিসেম্বর আমাদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। সমমনা পরিষদের সকলপ্রার্থীকে ভোট দেবার জন্য প্রিয় ভোটারদের অনুরোধ জানাচ্ছি।কারণ এ প্যানেলের প্রার্থীদের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কারন এ পরিষদে অনেক দক্ষ, অভিজ্ঞ এবং শিক্ষিত প্রার্থী রয়েছে।