আজাহার আলী সরকার
চিফ অফ জেনারেল স্টাফ ( সিজিএস) লে. জেনারেল ওয়াকার উজ জামানকে জেনারেল পদোন্নতি দিয়ে তিন বছরের জন্য আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নুতন সেনাপ্রধান নিয়োগ করা হয়েছে।
তিনি বিএমএর ত্রয়োদশ লং কোর্সের একজন মেধাবী দক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তা ।
বর্তমান সেনা প্রধান শফিউদীন আহমেদের চাকরির মেয়াদ আগামী ২৪ জুন শেষ হচ্ছে, সেদিন থেকেই নতুন সেনা প্রধানের নিয়োগ কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, জনাব ওয়াকার ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৬৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস শেরপুর জেলায়। ১৯৮৫ সালে সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কমিশন পাওয়া ওয়াকার-উজ-জামান সেনা সদর দপ্তরের সামরিক সচিবের দায়িত্ব পান ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তার আগে তিনি নবম পদাতিক ডিভিশনের নেতৃত্বে ছিলেন।
সেনাবাহিনীতে দীর্ঘ ৩৫ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি একটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন, একটি পদাতিক ব্রিগেড এবং পদাতিক ডিভিশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস এবং সেনা সদরদপ্তরে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেনা সদরদপ্তরের সামরিক সচিবের শাখাতেও তিনি বিভিন্ন ভূমিকায় কাজ করেছেন।
অ্যাঙ্গোলা ও লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সিনিয়র অপারেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এই সেনা কর্মকর্তা।
মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ এবং যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে লেখাপড়া করার পর লন্ডনের কিংস কলেজে মাস্টার্স করেন ওয়াকার-উজ-জামান।ব্যক্তিগত জীবনে ওয়াকার-উজ-জামান দুই মেয়ের বাবা।
মরহুম সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল মুস্তাফিজের জামাই লে: জেনারেল ওয়াকার । সেনাপতি হওয়ার আগে পিএসও হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন জেনারেল মুস্তাফিজ। সেই সময় মুস্তাফিজ মেজর জেনারেল ছিলেন । সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িতব গ্রহনের দিনেই অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর’১৯৯৭ বেলা অনুমান সকাল ১১টায় তাঁর সাথে আমার সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছিল। পিএসও হিসেবে নিযুক্তির আগে তাঁকে দীর্ঘদিন সেনাবাহিনীর বাইরে রাখা হয়েছিল বলে তিনি সেদিন স্মৃতিচারণ করেছিলেন।
মুস্তাফিজের পুরাে নাম মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান । তাঁর জন্ম : ২০ জানুয়ারি ১৯৪১ – মৃত্যু: ৩ আগস্ট ২০০৮। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করেন।