ঢাকা   ২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ৯ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফেনী সদরের হোটেল শ্রমিকদের মিছিল ও সমাবেশ এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে ফেনীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ফেনীতে মহাসড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সবাই ছিলেন নির্মাণশ্রমিক চাকরিতে পুনর্বহালসহ গ্রামীণফোনের কর্মীদের তিন দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন বাংলাদেশে এখনো হুমকি-হামলার শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকেরা: সিপিজে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মেট্রোরেল বন্ধের হুমকি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ সাবেক স্বাস্থ্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম গ্রেফতার ফেনীতে বিএনপির জনসভায় যা বললেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ ‘মব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে’

নিপুণকে জয়ী করতে ১৭ বার ফোন করেন শেখ সেলিম

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, আগস্ট ২০, ২০২৪
  • 167 শেয়ার

বিনোদন ডেস্ক
২০২২ সালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হারেন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ। প্রকাশিত ফলাফলে অসন্তোষ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন তিনি। সেখান থেকে জল গড়ায় আদালতে। শেষমেষ আদালতের রায়ে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন এই অভিনেত্রী।

শিল্পী সমিতির সেই নির্বাচন নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। নির্বাচনে হেরেও নিপুণ কীভাবে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসলেন তা নিয়েও বিস্তর আলাপ হয়েছে। তবে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুললেননি।

সে সময়ে চুপ থাকলেও চিত্রনায়িকা নিপুণের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুলতে শুরু করেছেন অনেকে। যাদের একজন ২০২২ সালে শিল্পী সমিতির ভোটে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা পীরজাদা হারুন।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ভোট গণনার রাতে তার ওপর দেশের ক্ষমতাবান একজন রাজনীতিবিদ চাপ প্রয়োগ করেছিলেন নিপুণকে জেতানোর জন্য।

হারুন বলেন, ‘সেদিন রাতে একের পর এক ফোনে আমাকে ভয় দেখানো হয় যে তুলে নিয়ে যাবে। পরে একটা জায়গায় যেতে বলেন, যেখানে বড় অঙ্কের টাকা রাখা ছিল। যখন রাজি হলাম না, তখন ফলাফল নিয়ে মামলা করা হলো। সেটা চলে গেল কোর্টে। তখন নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আমাকে বানিয়ে দেওয়া হলো অন্য একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য। নানা কাণ্ডে আমাকে ছোট করা হলো, এফডিসিতে নিষিদ্ধ করা হলো।’

দীর্ঘদিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পদে দায়িত্বরত ছিলেন হারুন। নিজের এই সততার কারণে বারবার সরকারি চাকরিতে পদবঞ্চিত হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ওই নির্বাচনেই হারুনের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে যুক্ত এক সদস্য বলেন, ‘নিপুণকে জয়ী করতে সেদিন রাতে ১৭ বার ফোন করেন শেখ সেলিম সাহেব। এমনকি নির্বাচন কমিশনারকেও ভয়ভীতি দেখিয়ে গালিগালাজ করেন। বলেন, পুলিশ দিয়ে তুলে নিয়ে যাবেন।’

নিপুণের সঙ্গে শেখ সেলিমের সখ্যতা চোখে পড়েছে একাধিকবার। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে অভিজাত এলাকা বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে নিপুণ গড়ে তোলেন প্রসাধনী ও লাইফ-স্টাইল কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান ‘টিউলিপ নেইলস অ্যান্ড স্পা’। সাধারণত শেখ সেলিমের মতো নেতা পার্লার উদ্বোধন করার কথা না হলেও নিপুণের এই পার্লারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন তিনি।

এরপর থেকেই নিপুণ ও শেখ সেলিমের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা গেছে এফডিসিতে। এই নেতার প্রভাবে বিভিন্ন সময় নিজের অন্যায় আবদার পুরণ করেছেন নিপুণ। প্রভাব বিস্তার করেছেন সাধারণ শিল্পীদের ওপর।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০