আজাহার আলী সরকার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর এবার সফল হতে পারে ! ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে তিনি এবার সব দিক থেকেই কঠোর অবস্থান নেবেন এবং খুবই শক্ত হবেন বলে আগাম একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, বিশেষ করে দেশে ফেরার পর প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও কঠোর হবেন। তিনি দুর্নীতির ক্ষেত্রে কাউকো ছাড় না দেয়ার হুঁসিয়ারিও ঘোষণা করতে পারেন।
এছাড় তিনি দলীয় সন্দেহভাজন নেতাসহ আমলাদেরও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিতে পারেন। এরফলে দলীয় নেতাসহ অনেক আমলাদেরই তিনি বিভিন্নভাবে সাইজ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশটিতে নতুন সরকার গঠনের পর এটিই কোনো বিদেশি প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফর।
প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গীদের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, গতকাল শুক্রবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র ও পরিবেশবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।
এর আগে শুক্রবার দুপুর ২টা ৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
গুরুত্বপূর্ণ এ দ্বিপক্ষীয় সফর উপলক্ষ্যে গতকাল এবং আজ ভারতে অবস্থান করবেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান।
জানা গেছে, এ সফরে দুদেশের চমৎকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও এগিয়ে নেওয়ার বার্তা থাকবে। সফরে গুরুত্ব পাবে অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টি। পাশাপাশি আলোচনায় থাকবে ঋণ সহায়তা, সীমান্ত হত্যা ও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির মতো অমীমাংসিত ইস্যুগুলো।
সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদারে বেশ কিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। এ ছাড়া একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
সফরের শুরুতে আজ গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। আজ শনিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক অর্ভ্যথনা জানাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। এরপর হায়দরাবাদ হাউজে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী তাদের বিবৃতি দেবেন।
সফরের শেষ দিন আজ শনিবার বিকালে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যা ৬টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। রাত ৯টায় ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে তার।