বিজনেস ফাইল ডেস্ক
কোন কোন মানুষ আছেন যারা নিজের কথা ভাবেন না, ভাবেন সমাজের কথা, ভাবেন মানুষের কথা। তারা নিজের অবস্থান তুলে ধরতে কখনো মিডিয়ার মুখোমুখি হন না। এ পর্যায়ে আমরা এমনই একজন কর্মঠ এবং শক্তিশালী ভিত আছে এমন এক তরুণ ব্যবসায়ীর কথা বলছি। এফবিসিসিআইয়ের জিবি সদস্য, বাংলাদেশ পাইপ এন্ড টিউবওয়েল মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রবিউল হক বাদশা।
সহকর্মীদের কাছে একজন পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি যেমন তিনি তেমনি বন্ধু বৎসলও বটে।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সংগঠনের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন (২০০২৪-২৬)। নির্বাচন ঘিরে সংগঠন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গতকাল বুধবার ছিল কাওরান বাজারে এ সংগঠনের (সম্মিলিত প্যানেল) সাংগঠনিক সভা। সভাস্থল থেকে দৈনিক বিজনেস ফাইল পত্রিকা প্রতিবেদকের সাথে নির্বাচন প্রসঙ্গে সভাপতি প্রার্থী রেজাউল হক বাদশা তার অনুভূতি তুলে ধরেন। তিনি আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন প্রসঙ্গে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন আমাদেরকে।সেখান থেকে নির্বাচিত কথা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো :
প্রশ্ন: পাইপ এন্ড টিউবওয়েল mercent এসোসিয়েশন মূলত কি ভিক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত?
উত্তর:এ সংগঠনের ব্যবসায়ীদের উন্নয়ন মুখী একটা সংগঠন। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, বিল্ডিং এমনকি দেশের সকল স্থাপনায় কোনো না কোনোভাবে পাইপ টিউব সামগ্রী প্রয়োজন হয়। তাই আমাদের এ সেক্টরের ব্যবসায়ীদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে আমরা নিরন্তর কাজ করে চলেছি।
সংগঠনের প্রতিটি সদস্য আমাদের ভাই। সুখে-দুখে আমরা একসাথে কাজ করি। সরকারের কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে, আমরা নিজেরা আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত কি হবে তা নির্ধারণ করি। সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার এসব বিষয়ে আমরা শীর্ষ সংগঠন
এফবিসিসিআই থেকে ইমুতে সে ধরনের কোন সহায়তা পাচ্ছি না।
প্রশ্ন:বর্তমানে এফবিসিসিআই সংস্কার বিষয়ে আপনার মনোভাব কি?
উত্তর: আমরা এফবিসিসিআই’র সংস্কার চাই। সভাপতি, সহ-সভাপতি সহ সকল পদে নির্বাচন চাই। বিগত দিনে কেউ কেউ রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছে। অতিরিক্ত চামচামিটা জিপি সদস্যরা ভালোভাবে দেখেনি। বিগত কয়েকটাম ধরেই সভাপতি নির্বাচিত হতে জিবি সদস্যের ভোট প্রয়োজন হয়নি। গত কয়েক টামে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন অটো পরিচালকদের মধ্য থেকে। নির্বাচনের পর অনেক পরিচালকই তার সভাপতির কাছে পাত্তা পাননি। সেখানে জীবী সদস্যদের কথাতো বলাই বাহুল্য।এতে আমাদের ভ্যাট সমস্যার সমাধান হয়নি। আমরা বারবার বলেছি আমরা যারা আমাদের উৎপাদিত পণ্যের কাঁচামাল ইমপোর্ট করি,তখন আমরা ভ্যাট দেই। যখন এক্সপোর্ট করি তখনও আমাদের এনবিআর নির্ধারিত অনেক কিছু দিতে হয়। একই পণ্যের ভ্যাট বারবার কেন এ প্রশ্নের উত্তর আমরা আজও পাইনি। অর্থাৎ আমাদের ভ্যাট সমস্যা সমাধান হয়নি। লোকাল পাবলিক ভ্যাট দিতে চায় না একথা সরকার বা এনবিআর চেয়ারম্যান শোনেন না।
এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দ আমাদের ভ্যাটে সমস্যার সমাধান করে দিতে পারেননি। অথচ সরকার তাদেরটা কৌশলে নিয়ে যাচ্ছে। একই বিষয়ে বারবার ট্যাক্স এই কথাটি আমরা দীর্ঘ সময় বোঝাতে পারিনি। আমাদের ভোটে যারা নির্বাচিত সভাপতি, সহ-সভাপতি ও পরিচালক নির্বাচিত হন তাদের রাজনৈতিক চরিত্র থাকায় তারা সরকারের সাথে বার্গেনিং করতে পারেন না।
প্রশ্ন:কোন কোন দেশে বাংলাদেশের কোন যাচ্ছে? উত্তর:আমাদের উৎপাদিত্ পণ্যের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে দেশে বাইরে। বিশেষ করে নেপাল, শ্রীলংকা, আফ্রিকাতে আমাদের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা। এছাড়া বিশ্বের প্রায় ৫০ টি আমাদের দেশের পন্য রপ্তানি হচ্ছে। প্রশ্ন:দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কি করণীয় আছে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর:আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরের বিশাল একটা জায়গা রয়েছে। কাঁচামাল এবং ফিনিশ প্রডাক্ট দুটোই ডলারের মাধ্যমে অর্থ আদান প্রদান করা হয়। এ ব্যাপারটা না থাকলে ডলার রেট ১২০-২৫ টাকার পরিবর্তে হতো ৮০-৯০ টাকা।
ধরুন ঢাকার বাইরে থেকে কাঁচামাল, সবজি ইত্যাদি ঢাকাতে আসতে পেট্রেোল, অকটেন ইত্যাদি জ্বালানি তেল আমাদের ডলারের মাধ্যমে ক্রয় করতে হয়। ডলারের উচ্চ মূল্যের কারণে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে এছাড়াও পথে চাঁদা মধ্যসত্ব ভোগী রয়েছে। জ্বালানির দাম কমলে আট হাজার টাকার ট্রাক ৬০০০ টাকায় পাওয়া যাবে।তখন দ্রব্যমূল্যের দাম কমে যাবে।
প্রশ্ন: দ্রব্যমূল্য কমানোর কোন পদক্ষেপ আছে কি?
উত্তর
এফবিসিসিআইতে বর্তমানে প্রশাসক রয়েছেন। দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতির জন্য এখন সরকার কার সাথে বসবে। প্রশাসক মহোদয় যদি বিগত পরিচালনা পর্ষদ থেকে অন্তত পনের/বিশ জনকে দায়িত্ব দিতে পারেন।একই সাথে মনিটারিং কমিটি যদি কাজ করতে পারে তাহলে হয়তো মূল্য নিয়ন্ত্রণ আসতো। এখন চারজনকে প্রশাসকের সহায়ক সদস্য নেওয়া হয়েছে তারা তো সংস্কার বিষয়ক কাজ করছে।
যতক্ষণ নির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ না করে ততক্ষণ পর্যন্ত ১৫-২০ জনের একটি ব্যবস্থাপনা কমিটিকে নির্ধারিত করে কাজ করতে দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।