কুদরাত-ই-খোদা
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ থেকে বেরোতে পারছে না সরকার। ধারণা করা হচ্ছে দক্ষ, নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত আমলার অভাবেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাড়ছে। সরকারের শীর্ষ সূত্রগুলো জানিয়েছে, চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জন হোসেন মিয়াকে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হতে পারে।
তোফাজ্জল হোসেনের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে জুলাই মাসে। অপরদিকে আবারো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পারেন বর্তমান বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এ নিয়ে আলোচনা চলছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসন ক্যাডারের ১৩তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের অনেকেই সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।
পরবর্তী ব্যাচ অর্থাৎ প্রশাসন ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচের সচিব পদে পদোন্নতির বিষয়টি আগামী জুলাই মাস থেকে বিবেচনা করা হতে পারে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং দক্ষ কর্মকর্তাদের সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয় চাপ রয়েছে। সচিব পদে পদোন্নতি যোগ্য অনেক কর্মকর্তাই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন। কারণ, সচিব পদে একজন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেলে, প্রশাসনের ৬টি স্তরের কর্মকর্তা পিছিয়ে পড়েন। উল্লেখ্য, শীর্ষ পদগুলো সহ যারা এখন পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত আছেন তারা হলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম, সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আবদুস সালাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে সংযুক্ত সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম খান, কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, ইরাকে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ফজলুল বারী প্রমুখ।