নিজস্ব প্রতিবেদক
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর হল বাজার সংলগ্ন চন্দন প্লাজায় অবস্থিত, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর একটি শাখা ২০১০ সালের দিকে খোলা হয়। ২০১০সাল থেকে প্রায় ২০১৯ সাল পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম ঠিক রেখে শত গ্রাহকদের ৫বছর ও ১০ বছর মেয়াদি (DPS) জীবনবীমা একাউন্ট খোলা হয়। পাঁচ বছর ও দশ বছর মেয়াদী শত গ্রাহক তাদের এই একাউন্টে টাকা রাখে। ২০১৯ সালের পর হঠাৎ করেই গা ঢাকা দেয় কোম্পানিটি। গ্রামের কিছু মধ্যবিত্ত ও গরীব মানুষেরা এই অ্যাকাউন্টে পাঁচ বছর ও ১০ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গ্রাহকগণ যখন নির্ধারিত সময়ে তাদের মুনাফা সহ টাকা চাইতে আসে, তখন অফিস তালাবদ্ধ দেখতে পায়। গ্রাহকগণ কিছুদিন পরে এসে অফিস যখন খোলা পায় তখন দেখা যায়, অফিস খোলা থাকলেও কোন লোকজন নাই।এই সমস্ত গ্রাহকগণ এখন টাকা হারিয়ে হতাশ। কারো আবার মাথায় হাত। গরিব মধ্যবিত্ত পরিবারের কষ্টে অর্জিত টাকা এভাবে চলে যাবে, তারা এটা মেনে নিতে পারছে না।
এ সময় কিছু গ্রাহক দৈনিক বিজনেস ফাইল প্রতিনিধি আমিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানান, পাঁচ বছরও কেউবা ১০ বছর মেয়াদে ডিপিএস এর টাকা রাখার পর নির্ধারিত সময়ে নিতে গেলে অফিস থেকে জানায়,এই অফিসে টাকা নেয়া হলেও এখান থেকে আপনাদের টাকা দেয়া হবে না আপনারা অন্য আরেক অফিসে যান, আর কিছু টাকা কম নিতে হবে। ওই অফিসে গেলেও সন্ধান মেলেনি মুনাফা সহ সেই ডিপিএস এর টাকার।
এ ঘটনাই পরবর্তীতে উক্ত কোম্পানিটির ম্যানেজারের সঙ্গে মুঠো ফোনে কথা হয় বিজনেস ফাইল প্রতিনিধি আমিরুল ইসলামের। ম্যানেজার আমির হামজা তার মুঠোফোনে কথাপকথনের এক পর্যায়ে বলেন, আমার কিছু করার নাই। টাকা দিলে হেড অফিস দেবে, আমরা শাখা অফিস থেকে টাকা দিতে পারব না।