ঢাকা   ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এফবিসিসিআই মতবিনিময় সভায় কে কি বললেন

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪
  • 165 শেয়ার

বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
২১ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে রাজধানীর পল্টনে ফার্স হোটেলে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ পরিষদের অধিকার আদায়ে সংস্কার করার লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করেন এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ সদস্যরা।

মতবিনিময় সভায় কে কি বললেন-


এফবিসিসিআইতে পরিচালক ৮০ জন। এরমধ্যে ৫৭ জনই মনোনীত পরিচালক। যেখানে পরিচালক বেশি থাকবে সেখানে বেশি মতানৈক্য তৈরি হবে। ফলে সাধারণ ব্যবসায়ীদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে না। তাই সরাসরি ভোটের মাধ্যমে পরিচালক নির্বাচন করতে হবে। সালমান এফ রহমানের অতীত স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, স্বৈরাচার সরকার পতনের পর তার (সালমান এফ রহমান) বর্তমান পরিস্থিতি দেখে কষ্ট পাচ্ছেন। তাই ভবিষ্যতে আর কোনো ব্যবসায়ী বন্ধুর যেন এ রকম পরিস্থিতি না হয় সেজন্য সরকারকে তেলমারার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ফেডারেশনে লেজুড়বৃত্তি রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
-সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাসেম হায়দার

স্বৈরাচার সরকারের পতনে ছাত্র-জনতা আন্দোলন শুরু করার পর তৎকালীন সরকার গণহত্যা চালায়। এরপর গত ২৩ জুলাই এফবিসিসিআইয়ের নেতৃত্বে শীর্ষ ব্যবসায়ীরা সাবেক সরকারের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে গণহত্যাকে সমর্থন দিয়েছেন। তারা আমৃত্যু সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাই জুলাই-আগস্টের গণহত্যার দায় ব্যবসায়ী নেতারা এড়াতে পারেন না।
-ব্যবসায়ী নেতা ও ফেডারেশনের সাধারণ সদস্য জাকির হোসেন নয়ন

ফেডারেশনে আর কোনো দরবেশ দেখতে চাই না। সালমান সাহেবকে হটিয়ে আব্দুল আউয়াল মিন্টু সাহেবকে দরবেশ বানাতে চাই না। এখানে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। গুলশান অফিস ও হাটখোলা ভবন নিয়ে ছিনিমিনি করতে দেওয়া যাবে না।
-সাবেক এফবিসিসিআই পরিচালক গিয়াস উদ্দিন খোকন

ফেডারেশনকে পোস্টমর্টেম করে শয়তানের আত্মা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেটা বের করতে হলে আবার পোস্টমর্টেম করতে হবে। যোগ্য লোকদেরকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করতে হবে।
-এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক ওবায়দুর রহমান।

অটো পরিচালক বাদ দিতে হবে, তা না হলে কিছু হবে না। এফবিসিসিআই নতুন ভবন রপ্তানিকারকদের দিতে হবে। কোনো ব্যক্তিখাতে যেন না যায়। সংস্কার না হলে কেউ নির্বাচনে অংশ নেব না। আজকে আমাদের এ অঙ্গীকার করতে হবে।
-এফবিসিসিআই সাবেক পরিচালক মাহবুব ইসলাম রুনু।

সবসময় এফসিসিসিআইয়ের উপর ওহী নাজিল হয়, আমি ৯৮ এবং ২০০০ সালে পরিচালক ছিলাম ওহী নাজিলের কারণে ব্যবসায়ীদের কোনো উপকারে আসতে পারিনি। তাই পরবর্তীতে আর নির্বাচনে যাইনি।
-সাবেক এফবিসিসিআই পরিচালক কামাল উদ্দিন।

জসীম উদ্দিন এর মেয়ে আর মাহবুব আলমের মেয়ে দুজনই অটো ডিরেক্টর। যাদের বয়স এখন পর্যন্ত ২০ পার হয়নি। তারা আমাদের অভিভাবক হয়ে বসে আছে। এই হলো আমাদের সাবেক দুই সভাপতির মূল্যবান অর্জন।

-বাংলাদেশ ইলেকটিক্যাল এসোসিয়েশনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইদুর রহমান খান সাঈদ

গোপালগঞ্জ চেম্বার কোন যোগ্যতায় অটো পরিচালক পেল জাতির কাছে এটা সবাইকে খোলাসা করতে হবে।
-বাংলাদেশ এগ্রোবেইজড প্রোডাক্ট প্রডিউসার মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল্লাহ ফারুক

জিবি মেম্বারদের স্বার্থে কোনো নেতারা পূর্বে কাজ করেছেন কিনা সেটা এখন প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুযোগ পেলে জিবি মেম্বারদের পাশে থেকে তাদের জন্য কাজ করে যাবো।
-জিবি সদস্য ডা. মাহবুব হাফিজ

আমি পরিচালক থাকা অবস্থায় সালমান এফ রহমান, কাদের সিদ্দিকী,লতিফ সিদ্দিকীকে অন্যায় ভাবে ফেডারেশনে অনুষ্ঠান করতে দেয়নি।
-জিবি সদস্য ও সিনিয়র ব্যবসায়ী নেতা খোরশেদ আলী মোল্লা

যারা বলেছিলেন মৃত্যুর পরও শেখ হাসিনার সাথে থাকবেন তারা এখন কেন বাংলাদেশে আছেন?
-সুপার মার্কেট এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি জাকির হোসেন

এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদে একই মুখ বার বার, দেখবো আর কতবার, নতুন প্রজন্ম দরকার
-জিবি সদস্য আসলাম আলী।

গত নির্বাচনে রাতে ভোট গণনা শেষে বিজয়ী হয়ে বাসায় গেলাম, রাত তিনটায় শুনলাম আমি ফেল।
-২২-২৪ নির্বাচনে পরিচালকপ্রার্থী ফয়সাল আল মাহমুদ

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০