নিজস্ব প্রতিনিধি
আমরা অসংখ্যবার এনটিআরসিএ, মাউশি, সচিবালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার পরও কোন সমস্যার সমাধান খুঁজে না পেয়ে আজ নিরুপায়। আমরা চরম বৈষম্যের শিকার, আমরা শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর, আমরা দীর্ঘদিন যাবত দারুন অভাব অনটনে জর্জরিত। এনটিআরসিএ কর্তৃক ১ম, ২য় ও ৩য় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সুপারিশ প্রাপ্ত ১০৭ জন শিক্ষক এমপিও পদে স্থানান্তরের জন্য আমাদের আজকের এই সংবাদ সম্মেলন।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে পরিষদের সভাপতি মোঃ জামাল উদ্দিন একথা জানান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন মোঃ সাইফুল ইসলাম, মঞ্চে বক্তব্য রাখেন-মোঃ রুকুনুজ্জামান, রুহুল আমিন, মমতাজ বেগম আরো অনেকে।
তারা বলেন-আমরা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করে জাতীয় মেধা তালিকায় স্থান লাভ করেছি সেই জাতীয় মেধা তালিকা হতে ১ম, ২য় ও ৩য় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পরিপত্রের আলোকে এনটিআরসিএ মাধ্যমে আবেদন করি এবং উক্ত আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করিয়া এমপিও এবং নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের লক্ষ্যে এনটিআরসিএ সুপারিশ করেন। সুপারিশের পর হতেই একই পরিপত্রের আলোকে নিয়োগ পেয়ে কিছু শিক্ষক বেতন ভাতা সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন কিন্তু ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নন এমপিও প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেলে বেতন ভাতা পাবে না এ ধরনের কোন নির্দেশ ছিল না এবং মাত্র ১০৭ জন শিক্ষক বেতন ভাতা না পেয়ে বৈষম্যের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমরা বিগত সময়ে বেতন ভাতা না পেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি ও রিট করেছি এবং সরকারিভাবে যেখানে যেখানে আবেদন করা দরকার সকল জায়গায় আমরা যোগাযোগ করেছি। কিন্তু সব জায়গা থেকে আমাদের আশা দিয়ে থাকলেও আমাদের সমস্যার কোন সমাধান আজও পর্যন্ত হয়নি। কেনইবা আমাদের সরকারিভাবে নিয়োগ দিয়েও বিনা বেতনে চাকরি করতে হচ্ছে?আমরা দীর্ঘদিন বেতন ভাতাদি না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অত্যন্ত দুঃখ কষ্ট ও মানবেতর জীবনযাপন করে আসছি। কাজেই আমাদের মানবতার জীবনযাপন থেকে রক্ষার্থে আমাদের মাত্র ১০৭ জন শিক্ষককে এমপিও ভুক্ত পদে স্থানান্তরের মাধ্যমে বেতন ভাতাদি নিশ্চিত করার জন্য বৈষম্য বিরোধী অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা সহ সকল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি। আর যদি আমাদের সমস্যা সমাধান না করা হয় তাহলে আমরা আমাদের জীবন আত্মাহুতি দিব এ কথাও তারা বলেন। আর এসবের দায়ভার নিতে হবে শিক্ষা সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষের।