শেরপুর থেকে মোঃ সাইদুর রহমান আপন
গত বেশ কয়েকদিন যাবৎ জরাকুড়া আশরাফিয়া দাখিল মাদরাসার অভিভাবক কমিটি নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে কমিটি করা হয়েছে। মাদ্রাসার অভিভাবকরা সন্দেহ করলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ করেন অভিভাবকদের পক্ষে মো. নওশেদ আলী সহ বেশ কয়জন ।
লিখিত অভিযোগে জানানো হয় সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি ভাবে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও অভিভাবকদের অগোচরে কোন ধরনের খসড়া ভোটার তালিকা তৈরি এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত না করে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মো. আজগর আলী মাদ্রাসার সুপার সাহেব অবৈধভাবে কমিটি গঠন করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট জমা দেন যা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ এতে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত ও তথ্যের সত্যতা প্রমাণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়ার কাছে আবেদন পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তের উপজেলা ভেটেনারী সার্জন মোঃ আল আমিনকে নিয়োগ করলে গত ৬ই জানুয়ারী মঙ্গলবার তদন্ত কর্মকর্তা জরকুড়া আশরাফিয়া মাদরাসায় পরিদর্শনে যান। সেখানে মাদরাসার সুপার মোঃ আজগর আলীসহ শিক্ষকবৃন্দ অফিস ষ্টাফগণ উপস্থিত ছিলেন । উপস্থিত সরজমিনে জানা যায় যে তদন্ত কর্মকর্তা নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়ে আসলেও কমিটির মধ্যে জমি দাতা মোঃ দেলোয়ার হোসেনের ও শিক্ষক প্রতিনিধি গরীব হোসেন ও শফিকুল ইসলাম দুইজনের মধ্যে গরীব হোসেন সহ তিন জন মাত্র উপস্থিত ছিলেন।আর কেউ উপস্থিত ছিলেন না, জানতে চাইলে সুপার বলেন তাদের জানানো হয়েছিল আসেননি।
অভিভাবক চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ও অভিভাবকদের জানিয়ে কমিটি করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে এবং নোটিশ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সুপার বলেন নোটিশ করা হয়েছে। অভিভাবকদেরকে জানানো হয়েছিল বলে জানায় তিনি। কিন্তু সরজমিনে দেখা যায় প্রত্যেকটা শ্রেনীতে ছাত্রীদের জিজ্ঞাসা করে ষষ্ঠ শ্রেণী হইতে দশম শ্রেণীর সকল শিক্ষার্থীরা জানায় তারা জানেনা এবং তাদের অভিভাবকদের জানানোর জন্য কেউ বলেনি।
তাহলে কিভাবে হয়েছে কমিটি শিক্ষার্থীরা জানেনা। শিক্ষক এবং অভিভাবকদের কাছ থেকে জানা যায় যে অত্র মাদ্রাসার সুপার নিয়মিত মাদ্রাসায় উপস্থিত থাকেন না এবং মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত ল্যাপটপ দিলেও তা এখন পর্যন্ত কোথায় আছে শিক্ষকরা জানেনা। চুরি হয়েছে বলে জানানো হলেও এব্যাপারে কিভাবে চুরি হয়েছে জানায়নি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি অত্র এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান গোপনীয়তা অবলম্বন করে কমিটি করায় তারা খোব প্রকাশ করেছেন এবং কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি দাবী করেন । তদন্ত কর্মকর্তা নোটিশের কথা বললে সুপার বলেন অভিভাবক কমিটির জন্য নোটিশ করা হয়েছিল নিরাপত্তা প্রহরী নোটিশ দেওয়ালে লাগিয়েছে বলে জানায় । তবে তখন উপস্থিত প্রায় সবাই বলেন নোটিশ দেখেনি এবং অফিস সহায়ক জানেনা বলে জানায় তিনি । উপস্থিত সাবেক দুইজন সভাপতি ও ছাত্র অভিভাবকবৃন্দ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা করে নতুন কমিটি দাবি করেন।
এবিষয়ে মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি অএ এলাকার চেয়ারম্যানের আলহাজ্ব মোঃ শাহাদাত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা নিয়ম অনুযায়ী সঠিক ভাবে কমিটি করেছি। এবং আমি একজন জন প্রতিনিধি (চেয়ারম্যান) হিসাবে বা অএ মাদ্রাসার সভাপতি হিসাবে এই মাদ্রাসার সার্বিক উন্নতি কামনা করেই কাজ করছি বা করবো। তবে কমিটি সঠিক নিয়মেই করা হয়েছে।