বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক ২০২৩ সালে ৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে। একই সময়ে পুরোনো খেলাপি ঋণ থেকে আদায় হয়েছে ৫৬৭ কোটি টাকা।
এর মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করে মাঠ পর্যায়ে দুইটি জিএম হেডেড কর্পোরেট শাখা এবং স্থানীয় কার্যালয়সহ ১৭টি জেনারেল অফিসের মধ্যে সর্বোচ্চ (প্রথম) স্থানে রয়েছে
পুরাতন ঢাকা-১-এর জেনারেল ম্যানেজার অফিস-ঢাকা সেন্ট্রাল। সোনালী ব্যাংক জেনারেল ম্যানেজার অফিস ঢাকা সেন্ট্রালের জিএম মো. আব্দুল কুদ্দুছ।
সম্প্রতি সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফজাল করিম।
তিনি বলেন, সব ধরনের সীমাবদ্ধতা উপেক্ষা করে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করেছে ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। গত বছরে ব্যাংকের পরিচালন ব্যয়, ঋণের বিপরীতে প্রোভিশন এবং সরকারি ট্যাক্স হিসাব করা হয়নি। খরচ বাদ দিয়ে মূলত নিট মুনাফা হিসাব করা হয়। খরচ বাদ দিলে ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা কিছুই থাকবে না।
কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে প্রভিশন রাখতে অতিরিক্ত সময় নিয়েছে ব্যাংকটি। অর্থাৎ প্রভিশন রাখার পর নিট মুনাফার বিপরীতে কিছুটা লোকসানে পড়বে ব্যাংকটি।
সোনালী ব্যাংক থেকে সরবরাহকৃত লিখিত ডকুমেন্ট থেকে জানা যায়, ২০২৩ সাল শেষে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৩২ কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেছে ব্যাংকটি। এর মধ্যে ১ লাখ ৮০৯ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী অ্যাডভান্স ডিপোজিট রেশিও দাঁড়ায় ৬৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ, যা আগের যেকোনো বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
সদ্য সমাপ্ত বছরে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। যা আগের একই বছরের তুলনায় ১ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা বেশি।