ঢাকা   ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শপথ নিলেন আইডিএবির প্রথম নির্বাহী কমিটি স্বামী জিয়া উদ্দিনের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা, প্রতিকার চেয়ে স্ত্রী শারমিন জাহানের সংবাদ সম্মেলন অমর একুশে বই মেলায় পাঠকের নজর কেড়েছে আবদুল মাজেদের ‘পঞ্চভূত’ বিতর্কিত নির্বাচনের সহযোগী ১০৩ কর্মকর্তার পুলিশ পদক প্রত্যাহার সমাজসেবার আওয়ামী প্রেতাত্মা ওয়ারেছ আলী’র ভয়ংকর মিশন! ফেনীতে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা : পুলিশ সুপার ফেনীতে সাংবাদিকতায় দিনব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত ভালুকায় রাজৈ সজনগাও যুব সমাজের উদ্যোগে খেলা ও মেলা অনুষ্ঠিত মানিকগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভক্তি: পদত্যাগ ও অবরোধের হুমকি মানিকগঞ্জে সীমানা বিরোধে প্রতিবেশীকে কুপিয়ে জখম

সমাজসেবার আওয়ামী প্রেতাত্মা ওয়ারেছ আলী’র ভয়ংকর মিশন!

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : সোমবার, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫
  • 12 শেয়ার

বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
সমাজসেবা অধিদপ্তরের সমাজসেবা কর্মকর্তা ওয়ারেছ আলী ভাব-ভঙ্গি,আচার-আচরণে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর চেয়ে বড় বাঙ্গালী,শেখ হাসিনার চেয়ে বড় আওয়ামী লীগার,দলবাজির ক্ষেত্রে ওবায়দুল কাদেরের চেয়ে বড় দলবাজ ছিলেন। দলীয় ক্ষমতার দম্ভে উপরস্থ কর্মকর্তাদেরও তুচ্ছ জ্ঞান করতেন ।
সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের ঘনিষ্ঠ সহোচর সমাজসেবা অধিদপ্তরের সমাজসেবা কর্মকর্তা(নিবন্ধন শাখা,প্রধান কার্যালয়) ও আওয়ামী পন্থী সংগঠন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ওয়ারেছ আলী পতিত স্বৈরাচার সরকারের অন্যতম দোসর ছিলেন। আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারি শাসন দীর্ঘায়িত করার জন্যে পৈশাচিক কায়দায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে ইন্ধনদাতাও ছিলেন তিনি। আন্দোলন দমনে নানা ভাবে অর্থায়নও করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র দাবি করছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে তিরষ্কার করতেন তিনি। সম্প্রতি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ৪.৪৫ মিনিটের একটি ভিডিও-তে ওয়ারেছ আলী’র বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী শাসনামলে ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মা হিসেবে বিভিন্ন কর্মকান্ডের প্রমান মিলেছে। কিন্তু আওয়ামী সরকার পতনের পর ওয়ারেছ আলী রাজনৈতিক ডিগবাজি দেয়ার অপচেষ্টা করছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন ওয়ারেছ আলীসহ বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের নেতারা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আওয়ামী বিরোধী নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করেছেন সেই নেতারাই।
সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের এই নেতারা আওয়ামী লীগের আমলে মন্ত্রীদের পাশে থেকে করেছেন নানান অপকর্ম। কর্মচারী হয়েও এদের কেউ কেউ বনে গেছেন কোটিপতি। অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য ও বদলির হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগও আছে তাদের বিরুদ্ধে। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের পতনের পর সেই খোলস বদলেছেন তারা। আওয়ামী বিরোধী নেতাদের অতিথি করে সভা-সমাবেশ করে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সুনজর পেতে তৎপর হয়েছেন।
গত ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ নামে নতুন সংগঠন করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি সমাবেশ করেছে। সেখানে অতিথি করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি কে। অথচ এই সংগঠনের পেছনে রয়েছে আওয়ামী লীগের লেজুড়বৃত্তি করা কর্মচারীরা। আওয়ামী আমলে এই দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের নেতারাই মূলত কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনে ছিলেন। এই সংগঠনটি ১৭ জুলাই ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগের পক্ষে সাফাই গেয়ে বিবৃতি দিয়েছিল। সেখানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমালোচনা করা হয়। যে বিষয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বা জোনায়েদ সাকি অবগত ছিলেন না। এমনকি ওয়ারেছ আলী’র সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বদলী ঠেকাতে মাহমুদুর রহমান মান্না-কে দিয়ে সুপারিশ করিয়েছিলেন বলে একটি সূত্র দাবি করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, চীন সফরোত্তর সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কোটা প্রসঙ্গে বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা কোটা পাবে না তো রাজাকারের নাতি-পুতিরা কোটা পাবে? কথাটি বলার মাধ্যমে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখেছেন। কিন্তু সে বক্তব্য ঘিরে নেতিবাচক প্রচারণা ফেডারেশনের কাছে উদ্দেশ্যমূলক ও দূরভিসন্ধিমূলক মনে হয়েছে। দেশের প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক সকল আন্দোলনে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। সেই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাঙ্গণ থেকে রাজাকারের সমর্থনে স্লোগান ওঠা পুরো জাতিকে হতাশ ও বিস্মিত করেছে, যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে,আওয়ামী লীগের আমলে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের নাম দিয়ে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন মো. ওয়ারেছ আলী। অনিয়ম দুর্নীতি করে অঢেল বিত্ত বৈভবের মালিক হয়েছেন তিনি। দুর্নীতি দমন কমিশন এর তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি সমাজসেবা অধিদপ্তরের সমাজসেবা অফিসার ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি (একাংশ)। এই দলে আছেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খায়ের আহমেদ মজুমদার, চট্টগ্রামের পরিবার পরিকল্পনায় কর্মরত ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি দবির উদ্দিন এবং বিআইডব্লিউটিএতে কর্মরত আবদুল বাতেন বিপ্লব।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে,অন্তবর্তীকালিন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দাবি আদায়ের নামে সমাজসেবা অধিদপ্তরকে অস্থিতিশীল করে রেখেছেন ওয়ারেছ আলী চক্র। আবার সরকারি কর্মচারিদের দাবি আদায়ের নামে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন বাদ দিয়ে”বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ ”নামে নতুন ব্যানারে দেশব্যাপি নানা কর্মসূচির ছলে রাষ্ট্রে বিশৃংখলা সৃষ্টির আওয়ামী ফর্মুলা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দাবি করছেন,নানা দাবি আদায়ের ছদ্মাবরণে বিশৃংখলা সৃষ্টির কর্মসূচিতে অর্থ যোগানদাতা হচ্ছেন ওয়ারেছ আলী। আওয়ামী ফর্মুলা বাস্তবায়নেরত নতুন সংগঠনের মূখ্য সমন্বয়ক হয়েছেন ওয়ারেছ আলী। অন্তর্বর্তি সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ভয়ংকর মিশনে নেমেছেন আওয়ামী প্রেতাত্মা ওয়ারেছ আলী।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০