ঢাকা   ২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫) “ অন্তরে বাহিরে” ছবির মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালনায় আসছেন চিত্রনায়িকা রাকা কটিয়াদীতে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বাজিতপুরে তিন দোকানে রহস্যময় অগ্নিকান্ড, অর্ধকোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই তিস্তা ইকোসিস্টেম ভিত্তিক বহুমুখী প্রকল্প: বাংলাদেশের উন্নয়নে নতুন দিগন্ত ৯ মাস মহাকাশে আটকা থাকার পর পৃথিবীতে ফিরলেন সুনিতা ও উইলমোর যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে গাজায় বোমা হামলার প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে ইসরায়েলিরা যশোরে অ্যাম্বুলেন্স-ভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ৩ কটিয়াদীতে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রমজানে মানিকগঞ্জের বাজারে অভিযান: ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা, ক্রেতাদের সন্তোষ

শেরপুরে দুই সপ্তাহ যাবত সূর্যের দেখা নেই, ঘনকুয়াশায় ও হিমেল বাতাসে জীবন অচল

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : সোমবার, জানুয়ারি ১৫, ২০২৪
  • 260 শেয়ার

শেরপুর থেকে মোঃ সাইদুর রহমান আপন

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তঘেঁষা গারো পাহাড়ের শেরপুর জেলায় তীব্র শৈতপ্রবাহে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা আর কনকনে হিমেল হাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

উত্তরের হিমবায়ুর প্রভাবে হাড় কাঁপানো শীতে কাজে যোগদান করতে পরেছেন না শ্রমিকরা। তীব্র শীতে কষ্ট বেড়েছে নিম্নআয়ের মানুষের। তারা পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে রয়েছেন। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে শীতার্তরা জানান।

গত দুই সপ্তাহ ধরে জেলার আকাশে সূর্যের দেখা মিলছে না। দুপুরের পরে দুই এক ঘণ্টা হালকা রোদ উঠলেও সঙ্গে বইতে থাকে হিমেল হাওয়া। বর্তমানে জেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি জনপদ নালিতাবাড়ি, ঝিনাইগাতি ও শ্রীবরদী উপজেলার গ্রামগুলোতে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।

দিনের বেলায় তাপমাত্রা থাকে ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাতের বেলায় ৮ থেকে ১০ ডিগ্রিতে নেমে আসে। তীব্র শীতের কারণে এসব অঞ্চলের বৃদ্ধ ও শিশুরা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শীতের কবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না গবাদি পশুও। কৃষকরা তাদের পশুদের চটের বস্তা গায়ে জড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

কনকনে শীতে চলমান বোরো আবাদে ধান লাগাতে পারছেন না কৃষকরা। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকের বীজতলা।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস জানান, শীতের কারণে বীজতলার ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলেও ক্ষতি রোধে কৃষকদের সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঠান্ডার কারণে জমি তৈরি করে বোরো চারা রোপণ কিছুটা ধীরগতি হচ্ছে। তবে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত জেলায় বোরো চারা রোপণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৮৭৬ হেক্টর জমিতে। এবার আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯১ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম জানায়, এ বছর শীতের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। সর্বশেষ আমাদের শেরপুরে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে নেমেছে। এতে অস্বচ্ছল মানুষের শীতজনিত কষ্ট বেড়েছে। এই শীতার্তদের শীত নিবারণের জন্য আমরা সরকার থেকে এ পর্যন্ত ৩১ হাজার ৬৫০ পিস কম্বল বরাদ্দ পেয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদেরও শীতার্ত মানুষের পাশে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০