ঢাকা   ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার দাবিতে মানিকগঞ্জে বিএনপির জনসভা সংস্কার করে দ্রুত এফবিসিসিআই নির্বাচনের দাবি সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের বাজিতপুরে কৃষকদল ও সরারচর স্বপ্নছায়া পর্ষদের যৌথ উদ্যোগে শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ কুষ্টিয়া জেলা সমিতি ঢাকার দ্বিবার্ষিক নির্বাচন: শেখ সাদী সভাপতি, আবুল হোসেন মহাসচিব নেতাকর্মীদের সাথে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি কুতুব উদ্দিনের মতবিনিময় জনগণের ওপর কর্তৃত্ব নয় : সিনিয়র সচিব কাজের উন্নতি না হলে বিআরটিএ বন্ধ করা হবে: সড়ক উপদেষ্টা পুড়ে ছারখার লস অ্যাঞ্জেলেস, আরও এক হাজার একরজুড়ে ছড়িয়েছে আগুন ‘২০১৯ সালে বিয়ে করেছিলাম, এখন বিয়ের বয়স শেষ’ ‘বিজিবির শক্ত অবস্থানে বেড়া নির্মাণ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ভারত’

লিভার প্রতিস্থাপন হওয়া ভারতের প্রথম শিশু নিজেই আজ চিকিৎসক

বিজনেস ফাইল ডেস্ক
  • প্রকাশিত : সোমবার, নভেম্বর ২০, ২০২৩
  • 346 শেয়ার

বয়স যখন মাত্র ২০ মাস তখন জানা যায়, শরীরে রয়েছে বড় জটিলতা। লিভার প্রতিস্থাপন ছাড়া বাঁচানো যাবে না। তারপর ছেলের জীবন বাঁচাতে লিভার দান করেন বাবা। সেটি ছিল ভারতে প্রথম কোনো লিভার প্রতিস্থাপনের ঘটনা। ২৫ বছর পর সেই শিশুই আজ টগবগে যুবক। হয়েছেন প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক। তামিলনাড়ুর বাসিন্দা সঞ্জয় কান্দাস্বামীর জীবনের এই ঘটনা রূপকথাকেও হার মানাতে পারে।

ঘটনার শুরু ১৯৯৮ সালে। দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশু সঞ্জয়কে। জন্ম থেকেই বিলিয়ারি আর্টেসিয়া নামে এক ধরনের লিভারের রোগে আক্রান্ত ছিল সে। লিভার থেকে গলব্লাডার পর্যন্ত যে নালি, তা বন্ধ ছিল এই অসুস্থতার কারণে। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, যকৃৎ প্রতিস্থাপন না হলে সঞ্জয়কে বাঁচানো যাবে না।

ছেলের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসেন বাবা, দান করেন লিভার। দুই যুগ আগে ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালে জটিল সেই অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়, যা ছিল ভারতে প্রথম কোনো শিশুর শরীরে লিভার প্রতিস্থাপন। এরপর একটু একটু করে সুস্থ হয়ে ওঠেন সঞ্জয়। একটু বড় হওয়ার পর মা-বাবার মুখে শুনতেন সেই গল্প। তখনই স্থির করেন, একদিন যারা তার জীবন বাঁচিয়েছিলেন, বড় হয়ে ঠিক তাদেরই মতো হবেন।

বাস্তবে তা-ই করে দেখালেন সঞ্জয় কান্দাস্বামী। আজ প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক তিনি। যে কথা জেনে আবেগে আপ্লুত সেদিনের চিকিৎসকরা। তাদের মধ্যে অন্যতম ডা. অনুপম সিবাল। তিনি বলেন, লিভার প্রতিস্থাপনে দীর্ঘ এবং রোগমুক্ত জীবন পাওয়া যে সম্ভব, সঞ্জয় তার উদাহরণ।

আর সঞ্জয় বলেন, খুব কাছ থেকে যখন চিকিৎসকদের দেখেছি, তখনই ঠিক করি বড় হয়ে ডাক্তার হব। মানুষের জীবন বাঁচানোয় আমারও কিছু অবদান থাকুক, সেটাই আমি চাই। এ কথাও বোঝাতে চাই, ইচ্ছে থাকলে জীবনের সব বাধা অতিক্রম করা সম্ভব।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০