আবির হোসেন সজল, লালমনিরহাট
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মাদক পাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। এরই প্রেক্ষিতে সীমান্তে কঠোর নজরদারী ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধির মাধ্যমে গত ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ হতে ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ০৭ দিনে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) বুড়িরহাট, গংগারহাট ও অনন্তপুর বিওপির সীমান্ত হতে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের ২৯৮ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল ও ১৮.৬ কেজি গাজাসহ ০৫ জন আসামী আটক করতে সক্ষম হয়। এছাড়া রামখানা ও বাগভান্ডার বিওপির সীমান্ত থেকে ২৭ লক্ষ ১২ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ী, থ্রিপিস ও প্যান্টের থান কাপড়, রামখানা বিওপির সীমান্ত হতে ২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রী (পন্ডস ক্রিম, জনশন বেবি লোসন, মেডিসালিক মলম এবং জিলেট ব্লেড) এবং অনন্তপুর ও রামখানা বিওপির সীমান্ত হতে ৬৯ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় জিরা আটক করতে সক্ষম হয়েছে। জব্দকৃত মাদক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে এবং অন্যান্য মালামাল কাস্টমসে জমাদানের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানা যায়।
সীমান্ত দিয়ে যেমন মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন চোরাচালানী মালামাল বাংলাদেশে পাচার হয় তেমনি বাংলাদেশ হতে ধানের বীজ ও ডিজেল ভারতে পাচার হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এ প্রেক্ষিতে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) দৈখাওয়া, ঝাউরানী ও দিঘলটারী বিওপির সীমান্ত হতে ভারতে পাচারকালে ২ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা মূল্যের বাংলাদেশী ধানের বীজ এবং মোগলহাট বিওপির সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পাচারকালে ৭ হাজার টাকা মূল্যের ৬৫ লিটার ডিজেল আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন মালামাল ও মাদক পাচারে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের কারণে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) ০৬ জন চোরাকারবারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শাহ্ মোঃ শাকিল আলম, এসপিপি উক্ত মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানী মালামাল এবং আসামী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার ও চোরাচালান বন্ধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে আছে এবং ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।