রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায় পেছালো

প্রকাশিত: ১:৫০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২১

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ২ শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার রায় পেছালো। রায় ঘোষণার জন্য এখনও নতুন কোনও তারিখ ধার্য করেননি আদালত।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে মামলাটি রায়ের জন্য ধার্য ছিল। রায় প্রস্তুত না হওয়ায় এবং বিচারক অসুস্থ থাকায় রায়ের তারিখ পেছাচ্ছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ (অরেঞ্জ)।

গত ৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন। ওই দিন জামিনে থাকা এ মামলার ৫ আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করা হয়েছে। আর আসামিপক্ষ বলছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। কাজেই তারা খালাস পাবেন।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট আত্মপক্ষ শুনানিতে ৫ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, সাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়ি চালক বিল্লাল হোসেন।

আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় গত ২২ আগস্ট। চার্জশিটভুক্ত ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

২০১৮ সালের ১৩ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে ওই বছরের ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

চার্জশিটে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। অপর আসামি সাদমান সাকিফ, রহমত আলী ও বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ২ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।