বিশেষ প্রতিনিধি
রাজধানী ঢাকায় আবাসনের নামে জলাধার নিধনের মহোৎসব চলছে। রাজধানীতে জলাবদ্ধতাসহ সুন্দর পরিবেশ তৈরিতে এ ধরনের জলাধার নিধন বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া সময়ের দাবি বলে মনে করছেন সর্বস্তরের মানুষ।
জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহর রাজধানী ঢাকা। ঢাকার আবাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাউজক) সহ সারা বাংলাদেশের নগর বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইনও রয়েছে।
আইনে বলা আছে, প্রাকৃতিক জলাধার অর্থাৎ নদী, খাল, বিল, দীঘি, ঝর্ণা বা জলাশয় হিসেবে মাস্টারপ্ল্যানে চিহ্নিত সরকারের স্থানীয় সরকার, কোন সংস্থা কর্তৃক, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বন্যা প্রবাহ এলাকা হিসেবে ঘোষিত কোন জায়গা এবং সলল পানি এবং পানির ধারন করে এমন ভৃমি ইয়ার অন্তর্ভুক্ত হবে।
এ আইন থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন যাবৎ একশ্রেণীর অসাধু বালু ব্যবসায়ীদের কারণে নিয়মবহির্ভূতভাবে ঢাকা শহরের জলাধার ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
এ ধরনের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে রাজধানী পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন নগরচিন্তাবিদগণ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কিছু কার্যক্রম ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বাড্ডা ও খিলগাঁও থানার, গজারিয়া মৌজায়, সানভেলি আবাসন প্রকল্পের নামে বিভিন্ন মানুষের ফসলি জমিতে, ছোট ছোট খাল রাতের আঁধারে অপরিকল্পিতভাবে বা অনৈতিকভাবে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে, প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে, জোরপূর্বক এক ধরনের দিনের আলোতে জবর দখল করে বালি ভরাট কার্যক্রম করে। এই ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আমাদের অনুসন্ধানে সরকারি খাল গজারিয়া মৌজায় সিএস দাগ নং ৭১, আর এস দাগ নং ১৩৯, বিএস দাগ নং ২৩১৮ যাহা ইতিমধ্যেই স্বদেশ প্রপার্টি লি বালি ভরাট করে ফেলেছে এবং সেখানে অনেক সাধারণ মানুষের জমিতে অনুমতি ব্যতিরেকেই বালু ফেলেছে এবং ওই সকল সাধারণ মানুষের পক্ষে প্রশাসনের তবে রাজউকের নানাবিধ উন্নয়ন কার্যক্রম সহযোগিতা প্রয়োজন। এখনই একটি সূর্য পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ভূমিহীন না করে নগর উন্নয়ন সংস্থাসহ সকলের অধিকার বাস্তবায়নের মাধ্যমে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।