মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করুন – মশায় অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রকাশিত: ৪:০২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২১

ঢাকা মহানগরের বাসিন্দারা মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। সংবাদমাধ্যমে এ সম্পর্কে কিছু খবর ছাপা হয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, মশার উপদ্রব বাড়ে তখনই, যখন মশক নিধন কার্যক্রম থাকে না।

রাজধানীজুড়ে এখন মশার যন্ত্রণা এতটাই বেড়ে গেছে যে, সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিস্থিতি অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে খারাপ। মশার এমন উপদ্রবে এর আগে কখনো ভুগতে হয়নি রাজধানীবাসীকে। অনেক বাসায় দিনদুপুরেও মশারি টানিয়ে রাখতে হচ্ছে ক্ষুদ্র এ প্রাণীটির উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে। এর মধ্যেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য উদ্বেগজনক। বলা হচ্ছে, রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। গত এক মাসে ৩২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন সারা বছর নিয়মিতভাবে মশক নিধন কার্যক্রম চালিয়ে গেলে মশার উপদ্রব এমন মাত্রায় বেড়ে ওঠা সম্ভব ছিল না। ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ কম, সমাজে শোরগোল নেই এই ভেবে দুই সিটি করপোরেশন মশক নিধন কার্যক্রমে শিথিলতা দেখালে অচিরেই আমরা আবারও বড় বিপদের মুখোমুখি হতে পারি।

সামনে বর্ষা মৌসুম আসছে এবং এই সময়টাই এডিস মশার বিস্তার ও প্রজননের সবচেয়ে অনুকূল সময়। ফলে সতর্ক হওয়ার এখনই সময়। আমরা মনে করি মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে সারা বছরই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। সেজন্য মশার লার্ভা মারার ওষুধ ও তা ছিটানোর যন্ত্রের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। নিয়মিতভাবে সেগুলো ছিটানোর ব্যবস্থাকে স্থায়ী চর্চায় পরিণত করা প্রয়োজন। এটা কোনো মৌসুমি ব্যাপার নয়।