ঢাকা   ২রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ১৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ড. ইউনূসকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন রাষ্ট্রীয় ব্যাংকে নিয়োগপ্রাপ্ত এমডি/ডিএমডিদের কমার্স ব্যাকগ্রাউন্ড নেই! প্রকৃত ব্যাংকারদের মাঝে ক্ষোভ বাংলাদেশ পাইপ ও টিউবওয়েল এসোসিয়েশন: নির্বাচিত হলে সকলের মতামতের ভিত্তিতেই এসোসিয়েশন চালাবো : সোলাইমান পারসী ফয়সাল দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪) শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চুনারুঘাটে নিরীহ ব্যক্তির জায়গা দখলের চেষ্টা, হামলার অভিযোগ কুমিল্লা জেলা সমিতি চট্টগ্রাম’র ২০২৫-২০২৭ কমিটি গঠন সবার স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ছিল বলেই একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে : বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী সম্মিলিত পরিষদ নির্বাচিত হলে ভ্যাট সমস্যার সমাধান নিশ্চিত করব : সাক্ষাৎকারে ব্যবসায়ী নেতা রবিউল হক বাদশা দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪)

ভল্ট থেকে ২৮ লাখ টাকা হাওয়া, দুদকের জালে ব্যাংক কর্মকর্তা

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : সোমবার, মার্চ ৪, ২০২৪
  • 310 শেয়ার

বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
ব্যাংকের ভল্ট থেকে ২৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখার ক্যাশিয়ার ঝন্টু লাল দাশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (৩ মার্চ) সংস্থাটির হবিগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শোয়ায়েব হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মামলায় ঝন্টু লাল দাশের বিরুদ্ধে ব্যাংকের ভল্ট থেকে দায়িত্ব পালনকালে ২৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ব্যাংককে কর্মরত থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়, আসামি ঝন্টু লাল দাশ ২০২২ সালের ৩০ মে অগ্রণী ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখায় ক্যাশিয়ার হিসেবে যোগ দেন। একই বছরের ৭ জুন ওই শাখার প্রধান ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পান তিনি। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকটির দায়িত্ব পালনকালে ২৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকা সরিয়ে ফেলেন ঝন্টু লাল দাশ। সেদিন টাকা গণনা করতে গিয়ে এই টাকা সরানোর বিষয়টি ধরা পড়ে।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দুদককে জানালে তারা সরেজমিনে সেখানে যান। একই সঙ্গে ঝন্টু লাল দাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক কর্মকর্তারা। কিন্তু টাকা কোথায় রেখেছেন তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি এই ব্যাংক কর্মকর্তা। পরে মৌলভীবাজার শাখার কয়েকজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায়, ঝন্টু লাল দাশ উচ্চ সুদে বেশ কয়েকটি ঋণ নেন। সেসব টাকা নিজের ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু লোকসান হওয়ায় টাকাগুলো ফেরত দিতে পারেননি। অন্যদিকে ঋণের টাকা পেতে পাওনাদাররা চাপ দিতে থাকেন। পরে নিজ কর্মস্থলের ভল্ট থেকে ২৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকা সরান ঝন্টু লাল দাশ।

যে কারণে তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ / ৪২০ / ৪৬৭ / ৪৬৮ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলা দায়ের করে দুদক।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০