ক্রীড়া ডেস্ক:
একটা সময় ছিল বাংলাদেশ দলের সর্বেসর্বা ছিলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটিং বা বোলিং- উভয়দিকে তিনিই হতে ম্যাচের সেরা পারফরমার। এখন অনেকটাই বদলে গেছে দৃশ্যপট। এমন নয় যে, সাকিব পারফর্ম করা বন্ধ করে দিয়েছেন।
বরং সাকিবকে ঘিরে পারফরমারের সংখ্যা বেড়েছে অনেক। তাই তো, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচেই ধারাবাহিক অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেও অনেকটা আড়ালে সাকিব আল হাসানের নাম। আর আড়ালে থেকে অদ্ভুত এক রেকর্ডের মালিক হয়ে গেছেন সাকিব।
চলতি সিরিজের তিন ম্যাচের সাকিবের সংগ্রহ ব্যাট হাতে ৮৮ রান ও বল হাতে ৩টি উইকেট। তিনটি ম্যাচেই ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রান করেছেন তিনি, বোলিংয়ে এনে দিয়েছেন মহা মূল্যবান ব্রেকথ্রু।
এর মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে রীতিমতো ভূতুড়ে মিল পরিলক্ষিত হচ্ছে সাকিবের পারফরম্যান্সে। বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৭ বলে ২৬ ও বল হাতে ২২ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। শুক্রবার তৃতীয় ম্যাচেও ব্যাট হাতে ১৭ বলে ২৬ ও বল হাতে ২২ রানে ১ উইকেট তার নামের পাশে।
ক্রিকেটের ইতিহাস ও রেকর্ড বলছে, একই দলের বিপক্ষে দুইটি ম্যাচে ঠিক একই পারফরম্যান্স আগে কখনও দেখা যায়নি। যা এবার করলেন সাকিব। ব্যাটিং পারফরম্যান্স আর বোলিং ফিগারের মিলেই অদ্ভুত রেকর্ডটি গড়ে ফেলেছেন সাকিব।
তবে সাকিবের মিল শুধু ব্যাটিংয়ের রান ও বোলিংয়ের উইকেটের সীমাবদ্ধ নয়। শুধু তা হলে তো আর ভুতূড়ে মিলের কথা বলা হতো না। এ দুই ম্যাচের সাকিবের পারফরম্যান্সে রয়েছে আরও অবাক করা সব মিল।
দুই ম্যাচেই সাকিব খেলেছেন ১৭টি বল, দুই ম্যাচেই তার স্ট্রাইকরেট ১৫২.৯৪ এবং দুই ম্যাচেই তিনি হাঁকিয়েছেন ৪টি করে চার। ব্যাটিংয়ের মিল এখানেই শেষ নয়। দুইটি ম্যাচেই সাকিব আউট হয়েছেন ইনিংসের নবম ওভারে।
বল হাতেও এমন অবাক বিস্ময় রয়েছে সাকিবের পারফরম্যান্সে। দুই ম্যাচেই তিনি খরচ করেছেন ২২ রান, নিয়েছেন ১টি উইকেট। স্বাভাবিকভাবেই মিল তাই ইকোনমি রেটেও (৫.৫০)। তবে এসবকে ছাপিয়ে দুই ম্যাচেই সাকিব উইকেট নিয়েছেন নিজের চতুর্থ ও শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলটিতে।