ঢাকা   ৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

বাজিতপুর জেলার দাবিতে আইআইবিএইচবি’র আলোচনা সভা

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : রবিবার, অক্টোবর ৬, ২০২৪
  • 63 শেয়ার

বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
বাজিতপুরকে জেলা ঘোষণার দাবিতে শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বেঙ্গল এন্ড হিমালয়ান বেসিনস (আইআইবিএইচবি) এর আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বাজিতপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন বাদলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাজিতপুর জেলা বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান চার্লস টাউন অধ্যাপক ড. রাস বিহারী ঘোষ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হুমাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাইয়ুম খান হেলাল, বাজিতপুর উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা জহিরুজ্জামান জহির, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বাজিতপুর উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মঞ্জুরুল হক রোকন, বিশিষ্ট শিল্পপতি মীর মাসুদ রানা, বাজিতপুর কলেজ শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট ব্যাংকার মো. আজহারুল ইসলাম, আশরাফুল করিম, আব্দুল্লাহ আল বোরহান প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানে বাজিতপুর ও আশেপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, প্রকৌশলীসহ নানান শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন।


প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. রাস বিহারী ঘোষ জানান, ঐতিহ্যবাহী বাজিতপুর উপজেলাকে জেলা হিসেবে বাস্তবায়নের দাবি দীর্ঘদিনের। যুক্তিসঙ্গত এই দাবি বাস্তবায়নেও আমরা বদ্ধ পরিকর। কেননা জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পেতে যেসব অবকাঠামগত সুবিধাদী ও আনুসাঙ্গিক বিষয়াদী রয়েছে, তার প্রায় সবটুকুই দৃশ্যমান আছে এই বাজিতপুরে। দীর্ঘকাল ধরে এই দাবির পক্ষে উঠান বৈঠক, মতবিনিময় সভা, সেমিনারসহ নানান কার্যক্রম পুরো কিশোরগঞ্জ জুড়ে চলমান রয়েছে। তারই ফলস্বরূপ বাজিতপুর জেলার দাবিতে ১০ হাজার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের গণস্বাক্ষরতা সংগ্রহ হয়েছে। চলমান সকল কার্যক্রম ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি বলেন, বাজিতপুরবাসীর ১৫৫ বছরের এই আন্দোলন তাদের ধৈর্য্যরে পরিচয়ই শুধু বহন করে না বরং পৃথিবীর বুকে এক অনন্য নিদর্শনও সৃষ্টি করেছে। তার নেতৃত্বে বর্তমানে বাজিতপুর জেলা বাস্তবায়ন কমিটি গঠিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ড. রাস বিহারী ঘোষ বলেন, মহারাজ ত্রৈল্যকুমার চক্রবর্তী কুলিয়ারচরের সন্তান, অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় কটিয়াদির সন্তান এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পপতি ও সমাজসেবক জহুরুল ইসলাম বাজিতপুরের কৃতিসন্তান হিসেবে সারাবিশ্বে সমাদৃত। পুন্যভূমি বাজিতপুর জেলায় রূপান্তরিত হলে ভবিষ্যৎ নানান পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, নিকলি উপজেলাকে পৌরসভায় রূপান্তর এবং সেখানে ভাটি অঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ মৎস্য গবেষণাগার গড়ে তোলা হবে। অষ্টগ্রাম উপজেলায় তিনি আধুনিক টেকনোলজী ট্রেনিং সেন্টার সৃষ্টি করে এ অঞ্চলের মানুষের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবেন। তাছাড়া ভৈরবকে শক্তিশালী অংশিদার হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে ভৈরব কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার স্বপ্ন দেখেন তিনি। সরকারিভাবে পূর্ব নির্ধারিত বাজিতপুরের সরারচরে বিমানবন্দর নির্মাণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ভাটিঅঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০