মোহাম্মদ খলিলুর রহমান
ষষ্ঠ জাতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৪র্থ ধাপের ভোটগ্রহণ আগামী ৫ জুন । নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ২ দিন এরই মাঝে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় ভোটের মাঠে চলছে বিভিন্ন সমীকরণ। ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই উপজেলার জনসাধারণের মধ্যে বাড়ছে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়ে উন্মাদনা। এদিক থেকে অন্য প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে আছেন রেজাউল হক কাজল ।
বাজিতপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং বাজিতপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলাউল হকের ছেলে মো. রেজাউল হক কাজল ।
বাজিতপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, Òভোটের মাঠে প্রচার-প্রচারণায় উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও গ্রামে প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের প্রচারণা। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে চলছে প্রার্থীদের গণসংযোগ ও পথসভা। চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে সর্বত্র এখন নির্বাচনের ভোট নিয়ে আলোচনা। প্রার্থী ও তাদের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিক থেকে আনারস প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল হক কাজল অনেক এগিয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ভোটাররা।
ভোটারদের একজন জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “কাজল ভাইয়ের প্রতি স্থানীয় সাংসদের পরোক্ষ সমর্থন আছে । বাজিতপুরের সকল ইউপি চেয়ারম্যানরা তার জন্য কাজ করছেন । তার ছাড়া তার বাবার ইমেজ কাজে লাগিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে নিতে পাড়লে বিপুল বিজয় পাবে তিনি ।’’
গাজিরচর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব জুয়েল জানান, রেজাউল হক কাজল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে এমএ পাশ করা ভালো মানুষ । এলাকার সব শ্রেণীর মানুষের সাথে তার রয়েছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা । ঐতিহাসিকভাবে তাদের পরিবারে রয়েছে বিশাল জন সমর্থন । ৪ জন প্রার্থী বাজিতপুরের উপজেলার ভোট ভাগাভাগি করলে তার জয় নিশ্চিত।
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে রেজাউল হক কাজল বলেন,
“আমরা বাজিতপুরবাসীর জন্য সব সময় নিবেদিত হয়ে কাজ করেছি। আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলাউল হক বাজিতপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। বাজিতপুরের মানুষ আমাদের ভালোবাসে আমরাও তাদের পাশে ছিলাম থাকবো । এবার উপজেলাবাসীর ইচ্ছে পূরণ করার জন্য আমি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। তাদের ঘামের মূল্য দেওয়ার জন্য তাদের কাতারে এসে দাঁড়িয়েছি। এবার তাদের রায় নিয়ে এই উপজেলার মানুষের সেবায় নিজেকে নিবেদিত করবো ।
উল্লেখ্য, আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। বাজিতপুরে ৮৫টি কেন্দ্রে ২ লাখ ২০ হাজার ৯৮২ জন ভোটার ভোট দিবেন।