ঢাকা   ৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
উপদেষ্টার সিদ্ধান্তহীনতায় গার্মেন্টস শিল্পে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে: আলোচনা সভায় বক্তারা সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের সাথে ইউরোপ বাংলাদেশ ফেডারেশন অফ কমার্স-এর মতবিনিময় সভা ‘কাউন্টডাউন শুরু’ স্ট্যাটাস দেয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম তাপসী ওএসডি চার মাস বেতন বন্ধ কিশোরগঞ্জের কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত ৩২২ সিএইচসিপির বাজিতপুর জেলার দাবিতে আইআইবিএইচবি’র আলোচনা সভা ২০১৮ সালেই এমজেএফ সম্মাননা গ্রহণ করেন লায়ন খান আকতারুজ্জামান শেরপুরে ‘স্মরণকালের’ ভয়াবহ বন্যায় দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, মৃত্যু বেড়ে ৭ রায়পুরায় বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্ধোধন আজকের পর্ব (৭): ‌ক্ষণিকের জীবন লালমনিরহাটে কলেজছাত্রীর ধর্ষণের ভিডিও করে ভয় দেখিয়ে ফের ধর্ষণ, গ্রেফতার ৬

বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষণার পর ২২০ কোটি টাকা তুলে নিল এস আলম

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : বুধবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
  • 53 শেয়ার

বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক হিসাবগুলোর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর শরিয়াহভিত্তিক ৩ ব্যাংক থেকে ২২০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। তবে ওই অর্থ কোন খাতে ব্যবহার করা হয়েছে তার বিস্তারিত জানা যায়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোম্পানির অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হবে না—এমন নির্দেশনা দেওয়ার পর থেকেই ব্যাংক থেকে টাকা তোলা শুরু করেছে এস আলম। এরই মধ্যে ৩ ব্যাংক থেকে ২২০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে সংকটে থাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে তোলা হয়েছে ৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের বংশাল, চট্টগ্রামের একটি শাখা ও গুলশান শাখা থেকে তোলা হয়েছে ১০০ কোটি টাকার বেশি। বাকি অর্থ তোলা হয়েছে স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের বনানী ও চট্টগ্রাম শাখা থেকে। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুল মওলা। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সুযোগ নেই। এস আলমের অ্যাকাউন্ট ব্লক করা আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এস আলমের ব্যাংক হিসাব থেকে কিছু টাকা তোলা হয়েছে। ওই টাকা কোন খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে তা মনিটরিং করা হচ্ছে। কারণ কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লেনদেন ও ব্যবসা বন্ধ করতে চায় না বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের স্বার্থে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংক হিসাবগুলো স্থগিত করা হয়নি। এটা স্থগিত করা ঠিকও হবে না। তবে এসব হিসাব থেকে কোনো অর্থ বের করে পাচার করার চেষ্টা হচ্ছে কি না সেদিকে নজর রাখতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, ব্যাংকগুলোকে কোনো কোম্পানির হিসাব স্থগিত না রাখতে বলা হয়েছে। এজন্য ব্যাংক থেকে টাকা তুলছে এস আলম। তবে এস আলমের ব্যক্তিগত নামে হিসাব না থাকায় টাকা কোন খাতে ব্যবহার করা জন্য তোলা হচ্ছে তা ধরা যাচ্ছে না। এজন্য বংশাল ও গুলশান শাখা থেকে সন্দেহভাজন কোনো অর্থ বিতরণে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ইসলামী ব্যাংক ও স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩ প্রতিষ্ঠানের নামে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বের করে নিতে চায় এস আলম। সন্দেহজন ওই ঋণ আটকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব ঋণের সুবিধাভোগী এস আলম গ্রুপ। এমন সন্দেহের কারণেই ঋণগুলো বিতরণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০