নিজস্ব প্রতিনিধি
জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে গতকাল মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর ২০২৪) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সার্বিক নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগনের বিশেষ আলোচনা সভা-২০২৪ ইং অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতি ছিলেন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফজলার রহমান, ১ নং বড় ভিটা ইউনিয়ন, উপজেলা- কিশোরগঞ্জ,জেলা-নীলফামারী এবং আলোচনা সভার সঞ্চালনায় ছিলেন চেয়ারম্যান আমজাদ হোসাইন আশরাফী, কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান,নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
উক্ত আলোচনা সভায় মঞ্চে আরো ছিলেন চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, চেয়ারম্যান মোঃ রিপন মিয়া, চেয়ারম্যান লিটন মিয়া, চেয়ারম্যান মোঃ হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া, চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রিপন, চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল আলম,চেয়ারম্যান মোঃ আলী, চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম ও আরো অনেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বৃন্দ। তারা আলোচনা সভার শুরুতেই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছেন ২০২৪ এর ছাত্র জনতার আন্দোলনের সকল শহীদদের এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শ্রদ্ধার সাথে তাদের স্মরণ করেন। তারপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা,স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদের সবার প্রতি সম্মান জানায়।। অতঃপর তাদের কিছু প্রয়োজনীয় বক্তব্য জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তুলে ধরেন। তারা বলেন আমরা তৃণমূলের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি এবং শতকরা প্রায় ৬৫% চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অদ্য পর্যন্ত সরকারি সকল সেবা দিয়ে আসছি। আমরা কখনো কারো সাথে রাজনৈতিক বিবেচনায় কোন আচরণ করিনি। দল মত নির্বিশেষে সকল দল ও মতের মানুষের সমানভাবে সেবা প্রধান করে আসছি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহযোগী হিসেবেও আমরা প্রতিদিন অফিস করে আসছি। যাতে করে জনসাধারণের সেবা প্রদান ব্যাহত না হয়। বিজিএফ এর চাল বিতরণ করে আসছি, বিডব্লিউ চাল বিতরণ, টিসিবি পণ্য বিক্রি , কৃষি ও মৎস্য প্রণোদনা বিতরণ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করে আসছি। এবং ওয়ারিশান সনদপত্র, প্রত্যয়ন পত্র, চারিত্রিক বা নাগরিক সনদপত্র, জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু নিবন্ধন এর মত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ইউনিয়ন পরিষদ থেকে করে থাকি।গ্রাম আদালতের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখি, গ্রামীণ অবকাঠামো তথা নতুন রাস্তা নির্মাণ, পুরনো রাস্তা মেরামত, সরকারি সেবাদানের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছি। যদি পরিষদ ভেঙ্গে দেওয়া হয় বা চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয় তাহলে গ্রামগঞ্জে আইন শৃঙ্খলা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে, চুরি ডাকাতি, মাদক ও নানারকম অপকর্ম বৃদ্ধি পাবে।
অতএব, প্রধান উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সহ উপদেষ্টা মন্ডলীর কাছে আমাদের বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ এসোসিয়েশনের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের সকল চেয়ারম্যানের পক্ষ হতে জোর দাবি হচ্ছে দেশ ও দেশের সাধারণ জনগনের কথা ভেবে আমাদেরকে আমাদের মেয়াদ পর্যন্ত জনগণের সেবা প্রদানের সুযোগ করে দেওয়া হোক। যাতে করে সারা দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করে আমরা দেশকে আরো গতিশীল ও বেগবান করতে পারি।