মোহাম্মদ এনামুল হক জীবন
আশ্চর্য লাগছে! তাইনা? না আশ্চর্য লাগার কিছুই নেই। সুপরিকল্পিতভাবে, যথাযথ দেশপ্রেম নিয়ে, নিষ্ঠার সাথে দুর্নীতি মুক্ত হয়ে কাজ করলে মাত্র ১০ বছরে বাংলাদেশকে পৃথিবীর অন্যতম গর্বিত ও অতুলনীয় সুন্দর একটা দেশ বানানো সম্ভব।
অসংখ্য অগণিত পাহাড় দিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো, রুপালী রঙের পানিতে নদী বিধৌত, সুজলা, সুফলা, সবুজ শ্যামলা এবং পাকা ফসলের সোনালী রঙে ঢেউ খেলানো সমতলভূমি, দ্বীপ, বদ্বীপ আর, বৈচিত্র্যময় ঋতু বৈশিষ্ট্যে বৈশিষ্ট্যময়, চিল শালিক, মাছরাঙ্গা আর কাকাতুয়া সহ অসংখ্য অগণিত পাখির কলরবের দেশ বাংলাদেশ। বিভিন্ন খনিজ সম্পদ, পানি সম্পদ, পাহাড় সম্পদ, নদী সম্পদ এবং বৃহৎ আকারের মানবসম্পদে ধন্য আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি।
বাংলাদেশকে সোনার দেশ নামে নামকরণ করেও সোনার দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেনি আমরা! আজকে ২০২৪ সালে এসে ধর্ম,বর্ণ, জাতি, গোষ্ঠী ও সম্প্রদায় এসব ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে ছাত্র-জনতা তথা সর্বস্তরের আবাল বৃদ্ধ বনিতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনে ও বিপ্লবে আমরা এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, যেখান থেকে আমরা আমাদের এই বাংলাদেশকে সোনার দেশ হিসেবে গড়ে তোলার সময় এসেছে। বহুদিন, বহু বছর ধরে সময় গড়িয়েছে, জালিমের জুলুম, নির্যাতন, বে ইনসাফ আর পৈচাশিকতা শুধু অবলোকন করে গেছি আর মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে শুধু আকুতি জানিয়েছি, ‘হে আল্লাহ! আমাদের সম্ভাবনাময়ী অনেক মেধাবী মানুষের মেধাবিকাশের এই রুদ্ধ দ্বার তুমি খুলে দাও, জালিমের অমানবিক এই বন্ধি দশা থেকে আমাদেরকে উদ্ধার কর।’ বহুদিন পরে হলেও আল্লাহ আমাদের নিরীহ দেশ প্রেমিক লোকদের দোয়া কবুল করেছেন; আমাদের দেশের জন্য উদ্বেলিত প্রাণ এক ঝাঁক তরুণ ছাত্র-জনতাকে মজলুম মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এবং জুলুমের নাকপাশ ছিন্ন করার জন্য পঙ্গপালের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ার কাজে পাঠিয়ে দিয়েছেন ; শুধু তাই নয়, সাথে সাথে এই জাতির পরবর্তী কান্ডারী ও নেতৃত্বকেও আল্লাহ আমাদের সামনে এনে দিয়েছেন। অসংখ্য অগণিত শুকরিয়া আদায়স্বরূপ মস্তক অবনত করছি সেই মহান রবের নিকট যিনি আমাদের বাংলাদেশীদের কেধ্বংসের কিনারা থেকে নিরাপদ পথনির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আল্লাহর দরবারে আরো শুকরিয়া জানাই , যিনি বাংলাদেশকে সমগ্র পৃথিবীর নিকট সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থানে নিয়ে গিয়েছেন পৃথিবী জোড়া সর্বোচ্চ স্বনামধন্য ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসকে আমাদের নতুন সরকারের প্রধান করে দিয়ে।
বিগত বছরগুলোতে মেধাশূন্য, দলকানা, স্বার্থান্বেষী, ভিনদেশ প্রেমী, পদলেহী,তৈল মর্দনে প্রতিযোগীদের দিয়ে দেশ পরিচালনা করার কারণে সম্ভাবনার সোনার দেশ ছাই এর দেশে পরিণত হয়েছে। এরপরও আমরা যদি সমগ্র জাতির ঐক্যবদ্ধতায় প্রচেষ্ট হই, দেশপ্রেমে নিবেদিত হই, সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্ব সচেতন হয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করি তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের এই দেশ পরিবর্তন হতে এবং গর্বিত হতে বাধ্য। আর এজন্যে আমি আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক থেকে কিছু পদক্ষেপের প্রতি নজর দেওয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি :
(এক) আমাদের দেশটি আয়তনে অনেক ছোট একটি দেশ ; কিন্তু জনসংখ্যার বিবেচনায় আমাদের দেশটি অনেক বড় একটি দেশ, অনেক বড় একটি বাজার, অনেক বড় অর্থনীতির একটা সম্ভাবনাময়ী দেশ।
আমাদের দেশের জনসংখ্যা কে দীর্ঘদিন যাবত জ্ঞানের অভাবে এবং ভুল ধারণার ভিত্তিতে অভিশাপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে! অথচ দেশের জনসাধারণ আমাদের জন্য বৃহৎ এক জনসম্পদ। আমরা এ জনসম্পদকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়ে ব্যর্থতার দায় স্বীকার না করে অভিশাপ বলে চালিয়ে দিচ্ছি! আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই জনসংখ্যা দিয়েছেন নিয়ামত স্বরূপ আর আমরা চিহ্নিত করছি এটাকে আজাব স্বরূপ! তাই আমি বলব, সর্বপ্রথম পদক্ষেপ হিসাবে আমরা হাতে নিতে পারি জনসংখ্যা কে জনশক্তি এবং জনসম্পদে রূপান্তরিত করার উদ্যোগটাকে।
পৃথিবীর অনেক দেশ রয়েছে যাদের দেশ এত বড় যে, তারা দেশ রক্ষা করা বা পাহারা দেওয়ার লোক পর্যন্ত খুঁজে পাচ্ছে না। প্রতিবছর ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণ দক্ষ জনশক্তি বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোতে পাঠানো হয়। অথচ বাংলাদেশ চাহিদাগুলো সংগ্রহ করে সে মোতাবেক দক্ষ জনশক্তি তৈরি করলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ভারতের তুলনায় আমাদের অগ্রাধিকার থাকার কথা। শুধুমাত্র সুন্দর পরিকল্পনা ও দেশপ্রেমের অভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
আমরা যদি কোন্ দেশে ডাক্তারের চাহিদা রয়েছে , কোন্ দেশে ইঞ্জিনিয়ার এর চাহিদা রয়েছে? টেকনিশিয়ান এর চাহিদা, সফটওয়্যার তৈরীর ইঞ্জিনিয়ার এর চাহিদা আছে, বিভিন্ন দেশে কোন্ কোন্ সেক্টরে যেমন ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, রাজমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, রংমিস্ত্রি, ওয়েল্ডার ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রের দক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে সে সমস্ত দেশের চাহিদাগুলো সংগ্রহ করে পাশাপাশি আমাদের দেশে ওইসব সেক্টর ভিত্তিক দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে সুপরিকল্পিতভাবে এবং যাবতীয় হয়রানি মুক্ত ভাবে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে আমাদের দেশে বৈদেশিক মুদ্রা কি পরিমান বৃদ্ধি পাবে তা কল্পনারও বাইরে।
শেখ হাসিনা এবং পলকগং মানুষের হাতে পায়ে ধরে, কাকুতি মিনতি জানিয়ে, প্রণোদনা ঘোষণা করে যা পারেনি তা এমনিতেই সম্ভব।
( দুই) : আমাদের দেশের চামড়া শিল্পটাকে ভারতের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে শেখ হাসিনা গং সম্পূর্ণ গজব করে দিয়েছে। ১৫ বছর আগে বড় একটি গরুর চামড়ার দাম ছিল ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা, যখন চামড়ার একজোড়া সু অনায়াসে পাওয়া যেত মাত্র ৫০০/৭০০ টাকায়। আর বর্তমানে আমাদের দেশে বড় একটি গরুর চামড়া ৩০০ থেকে
৪০০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হয় না কিন্তু ১৫ বছর আগের ৫০০ টাকার চামড়ার শু বা জুতাটি এখন কিনতে হয় ৫০০০/ টাকায়! বিপরীত ধর্মী বা উল্টো প্রকৃতির এই অবস্থা মূলত: ভারতের ষড়যন্ত্র এবং আমাদের শেখ হাসিনা সরকারের উদাসীনতারই ফল, বৈ কি? আমরা যদি এখন চামড়া ও চামড়া জাত পণ্যের বিশ্ব বাজারের অবস্থা লক্ষ্য করি তবে চামড়া এবং চামড়া জাত পণ্যের চাহিদা গুলো আমরা জেনে নিতে পারি এবং মুমূর্ষুএই চামড়ার শিল্প কে আমরা সুস্থ করে তুলতে পারি ইনশাল্লাহ। চামড়ার দাম এতই কম, কিন্তু চামড়া জাত পণ্যের দাম এতই বেশি সে ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্রকারীরা চামড়ার বাজার এর চাহিদা অনুযায়ী চামড়া সংরক্ষণ, চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন এবং বিদেশে রপ্তানি করণ সবকিছুই করে যাচ্ছে ;অথচ আমাদের দেশ বাংলাদেশ অবহেলিত ও বঞ্চিত হচ্ছে; ফলে যে ক্ষতিগুলোর আমরা সম্মুখীন হচ্ছি
১)অর্থনীতির চাকা স্লথ হয়ে যাওয়া
২)দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন কমে যাওয়া। ৩)চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও শিল্প কারখানায় গড়ে উঠার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়া এবং ৪)সেটা ভারত বা চিন মুখী হওয়া ৫) বিশেষভাবে রপ্তানি আয় দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।
আমরা এখন নতুনভাবে দেশটাকে স্বাধীন করার মাধ্যমে সর্বস্তরে যে গণজাগরণ সৃষ্টির এবং সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে তাতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারলে এই শিল্প খাতকে আমরা পূনর্জীবিত করে অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জন করতে পারি তথা বাংলাদেশের ভেঙ্গে পড়া অর্থনীতিকে আমরা শক্ত
ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়ে নিতে পারি।
তিন) : বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ, বহুমুখী পথে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, মানুষের এবং সাংবাদিকদের বাক স্বাধীনতা হরণ করার মাধ্যমে, পশ্চিমা বিশ্ব তথা ইউরোপ আমেরিকার পক্ষ থেকে বারংবার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও, সতর্ক করা সত্ত্বেও তাদেরকে উপেক্ষা করে গণতন্ত্র মানবাধিকার পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গার্মেন্টস শিল্পের ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের এবং এবং অন্যদের যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সেটাকে বর্তমান বিপ্লবী সরকার প্রধান ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস স্যারের ব্যক্তিগত ইমেজ এর মাধ্যমে আমরা প্রশমিত করতে পারি এবং গার্মেন্টস শিল্পের ক্ষেত্রে যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো দূরীভূত করতে পারি।
(চার) আমরা আমাদের বাংলাদেশকে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ পর্যটনের দেশ বানাতে পারি। কেননা ভৌগলিক বিবেচনায় আমাদেরকে আল্লাহ যে ভূমি দিয়েছেন তা খুব কম দেশের রয়েছে। যেমন
ক)৷ আমাদেরকে আল্লাহ দিয়েছেন পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সেস বাজার যা যুগের পর যুগ পেরিয়ে গেছে; অথচ আমরা সেটাকে সহ দেশের পর্যটন খাত সমৃদ্ধকরণসহ উন্নয়নের চমৎকার পথ তৈরি করতে পারিনি।
খ) কক্সবাজারের সাথে রয়েছে সেন্ট মার্টিন যা কক্সবাজারের পাশাপাশি হওয়াতে পর্যটনের পরিকল্পনাটাকে আরো প্রসারিত করা সম্ভব। পৃথিবীর কোন দেশে আল্লাহ এত সুন্দর, এত দীর্ঘ সমুদ্র সম্পদ দিয়েছেন?
গ)। আমাদেরকে আল্লাহ তায়ালা যে পাহাড়ি এলাকা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম দিয়েছেন এই এলাকাগুলোকে সম্মিলিতভাবে বৃহৎ আকারে পরিকল্পনা নিলে অনেক বড় ধরনের পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। পাশাপাশি প্রতিবেশি ভারতের প্রতিহিংসা পরায়ণ কূটনীতির কারণে এইসব পাহাড়ী অঞ্চল নিয়ে যেসব কুটকৌশলের বেড়াজাল তৈরি করতে চায়, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নস্যাদের চক্রান্ত করতে চায় সেগুলো রুখে দিতে পারি। এই এলাকাগুলো দিয়ে আমরা যেমন সুদৃশ্য ও মনোরম পর্যটন এরিয়া তৈরি করতে পারি, তেমনি দেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ হিসেবে এটাকে কাজে লাগাতে পারি। আমরা মালয়েশিয়ার গেন্টিং হাইটস এর মত আমাদের এ অঞ্চল নিয়ে অত্যন্ত মনোরম পর্যটকদের আকর্ষণীয় এলাকা তৈরীর সহায়তার জন্য মালয়েশিয়াকে যৌথ উদ্যোগে সম্পৃক্ত করে নিতে পারি।
আমাদের রয়েছে পটুয়াখালীতে কুয়াকাটা নামক প্রাকৃতিক মনোরম সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় এর মনোরম প্রাকৃতিক এলাকা, আমরা ইচ্ছা করলে আরো আগেই পটুয়াখালীর কুয়াকাটা অঞ্চলের রাস্তাঘাট অবকাঠামো স্বল্প খরচে নির্মাণ করে দিলেও পর্যটকদের ভিড় জমানো যেত।
ঘ) আমাদের দেশের দক্ষিনে তথা নোয়াখালীর দক্ষিণাংশে হাতিয়া এলাকায় ঘেঁষে হরিণের অভয়ারণ্য নিঝুম দ্বীপ সহ বঙ্গোপসাগর জুড়ে বিশাল নতুন এলাকার উদয় হয়েছে সেটিকেও আমরা বাংলাদেশের একটি শ্রেষ্ঠতম পর্যটন এরিয়া হিসেবে তৈরি করতে পারি।
ঙ)১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে অর্ধ শতাব্দীর বেশি কাল পার হয়ে গেলেও ৯২% মুসলমানদের এই দেশে আমরা কোন একটা অঞ্চলকে বাছাই করে এশিয়া বিখ্যাত একটি অনিন্দ্য সুন্দর মনোরম মসজিদ নির্মাণ তথা মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন তৈরি করতে পারিনি যেখানে পৃথিবীর বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের দেশ হিসেবে বিদেশি পর্যটকরা আসবে, পর্যটন আয় বাড়বে, আমাদের দেশ গর্বিত হবে, বাংলাদেশের ইতিহাসে আজকের দেশপ্রেমিক ছাত্রসমাজ ঝুঁকি নিয়ে এবং জীবন ও রক্ত দিয়ে, অঙ্গুত্ববরণ করে দীর্ঘদিনের জগদ্দল পাথর হটিয়ে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীন করে গুণীজনকে স্বীকৃতি দেয়ার এবং সম্মানিত ব্যক্তিত্বকে সম্মানের আসনে বসানোর সূচনা করেছে তাতে আমরা আশা করতে পারি বাংলাদেশ দীর্ঘ যুগ যুগ ধরে চাপাবাজ, মিথ্যুক, প্রতারক ও ভন্ডদের হাতে ছিল এখন সে অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ শুগম হয়েছে, সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে যাতে আমরা ন্যূনতম দেশপ্রেম নিয়ে এগিয়ে আসলে এমন একটি স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া অতি সহজ বলে আশাবাদী। বাংলাদেশে এমন একটি বিখ্যাত মসজিদ নির্মাণ এর পরিকল্পনা হাতে নিয়ে পর্যটনের একটি শ্রেষ্ঠ দেশ বিনির্মাণের সূচনা করা যায় এবং এই মসজিদটিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জনের জন্য রক্ত দিয়েছেন ও শহীদ হয়েছেন তাদের নামগুলো স্বর্ণাক্ষরে খচিত করা সম্ভব। এতে আমাদের যে সম্ভাবনা গুলো রয়েছে সেগুলো হলো ১)পরিকল্পনাটা হাতে নিলে নির্মাণ সংক্রান্ত অর্থ জোগানের কোন স্বল্পতা দেখা দিবে না।
১) পর্যটনাঙ্গনে একটি নতুন উপাদান যোগ হবে
২)অর্থনীতির চাকা ঘোরার জন্য সহায়ক হবে। ৩)মুসলিম দেশগুলোর সাথে আমাদের পর্যটক এর একটা উন্নতি ঘটবে বিশেষ করে মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও সৌদি আরবসহ আরো অনেক মুসলিম দেশের সাথে আমাদের সম্পর্ক জোরদার হবে।
৪)বিশ্বের অন্যতম মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আপামর মুসলিম জনসাধারণের নিকট আমাদের বিপ্লবী সরকারের প্রধান ডঃ ইউনুস এর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।
৫। ছাত্র জনতার আত্মত্যাগের স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠিত হবে।
৬)দেশের মানুষের দেশের প্রতি আত্মত্যাগ ও মমত্ববোধ অনেক গুনে বেড়ে যাবে।
৭)সর্বোপরি মহান রাব্বুল আলামিনের রহমতের পথ খুলে যাবে।
লেখক : সেক্রেটারী, ঢাকা বিভাগ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা।