ঢাকা   ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আজিমপুর গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী ও ঠিকাদার সমিতির নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা কিশোরগঞ্জে প্রাথমিকের অধিকাংশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা বই না পেয়ে হতাশায় ভালুকায় শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫) রুহুল কবির রিজভী আহমেদ-এর সাথে ভালুকা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ নবীনগরে নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌতুক প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আলোচনা সভা সোনারগাঁয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত বাজিতপুরে জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল কটিয়াদীতে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে জামায়াতের ছাগল বিতরণ কটিয়াদীতে আচমিতা ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান ও সাবেক সভাপতির পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

ফেল করেছে বলে গালমন্দ করবেন না : অভিভাবকদের প্রধানমন্ত্রী

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : রবিবার, মে ১২, ২০২৪
  • 120 শেয়ার

বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফেল করেছে বলে গালমন্দ করবেন না। ফেল করেছে এতেই তো তাদের মনোকষ্ট। তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে হবে। পড়াশোনার দিকে আরও মনোযোগী করতে হবে। গালমন্দ করলে তারা সেটা নিতে পারবে না।

রোববার (১২ মে) সকাল ১০টার পর গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এরপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এবারের পরীক্ষায় যারা কৃতকার্য হয়েছে তাদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও অভিনন্দন জানান তিনি। যারা অকৃতকার্য হয়েছে তাদের মন খারাপ না করে আগামীতে আরও ভালো করার তাগিদ দেন সরকারপ্রধান।

এ সময় তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, গালমন্দ করলে ছেলে-মেয়েরা সেটা সহ্য করতে পারে না। কিছু ঘটনা তারা ঘটিয়ে ফেলে, তা তো নিশ্চয়ই অভিভাবকরা চাইবেন না। তারা চাইবেন না তাদের সন্তান হারাতে। সেজন্য তাদের সহানুভূতির সঙ্গে দেখেন, কেন সে পারল না? সেটা খুঁজে বের করে তার সেই সমস্যা দূর করতে হবে। পড়াশোনার দিকে আরও মনোযোগী করে তুলতে হবে।

‘আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে, ছেলে-মেয়েদের বেশি বেশি বললে তাদের পড়ার আগ্রহটা হারিয়ে যায়। এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে তাদের পড়ার আগ্রহটা এমনিতেই তৈরি হয়। আর আজকের ডিজিটাল যুগের ছেলে-মেয়ে, তাদের এমনিতেই মেধা বেশি। কাজেই সেই মেধা বিকাশের সুযোগটা দিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ৯৬ সালে যখন সরকারে আসি তখন স্বাক্ষরতার পেয়েছিলাম মাত্র ৪৫ শতাংশ। আমরা উদ্যোগ নেই এবং নিরক্ষরতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব, এ প্রকল্প নিয়ে প্রতিটি জেলাভিত্তিক স্বাক্ষরতার হার বাড়ানো এমনকি বয়স্ক শিক্ষা ব্যবস্থা আমরা করেছিলাম। ফলে আমাদের স্বাক্ষরতার হার ৬৫.৫ ভাগে উন্নত করতে সক্ষম হয়েছি। দুর্ভাগ্যের বিষয় আমাদের এই প্রকল্পটা বিএনপির যখন ২০০৮ ক্ষমতা এলো এটা বন্ধ করে দিলো। ২০০৯ সালে যখন আমি আবার ক্ষমতা আসি তখন দেখি যে স্বাক্ষরতার হার কমে সেটা ৪৪ ভাগে নেমে এসেছে। তারপর আমার উদ্যোগ নিয়েছি, আজকে আমাদের ৭৬ ভাগের মতো স্বাক্ষরতার হার। এটা আমাদের ১৫ বছরের বিরাট অর্জন বলে মনে করি। সেই সঙ্গে আমাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করে দিচ্ছি। প্রতিটি জেলা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। কারিগরি শিক্ষায় অংশগ্রহণের হার ২২ ভাগে উন্নীত হয়েছে। এটা ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ ভাগ ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৪১ ভাগ করার পরিকল্পনা আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে যাতে খেলতে খেলতে শিখতে পারে, সে উদ্যোগ নিতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের শিখাতে হবে। জাতির পিতা বলতেন, সোনার বাংলা গড়তে হবে। সোনার বাংলার জন্য সোনার মানুষ অপরিহার্য।

তবে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন সরকারপ্রধান। বলেন, মেয়েরা একটা সময় স্কুলে যেতেই পারত না। এখন কিন্তু সেটা নেই। ৯৮ ভাগ মেয়ে স্কুলে যায়। মেয়েদের শিক্ষার পরিবেশ আমরাই করে দিয়েছি।

ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী সংখ্যা ও পাসের হারে ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে কেন? এর কারণ খুঁজতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট ২০ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৫০ জন পরীক্ষার্থী। ছাত্রসংখ্যা ৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৩৬৪ জন, আর ছাত্রী সংখ্যা ১০ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭৮৬ জন। কেন ছাত্ররা কম? সে কারণটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে, কি কারণে ছাত্ররা কমে যাচ্ছে? পাসের হারেও দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে মেয়েরাই অগ্রগামী।

তিনি বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, এটা আমরা জানি। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছাড়া কখনো উন্নতি করা যায় না। সেজন্য আমাদের সরকার সবসময় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। শিক্ষাতে আমরা যে ব্যয় করি, এটাকে আমরা ব্যয় বলি না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলে গেছেন এটা বিনিয়োগ। শিক্ষাতে আমরা বিনিয়োগ করি।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০