
মোবাইল ফোনে অ্যাপ স্টোর বা প্লে স্টোরে বেশ কিছু ডেটিং সাইটের হদিশ পাওয়া যায়। অনেকেই ডেটিং সাইটের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তবে প্রেম বা বিয়ের ক্ষেত্রে এখনও পুরনো ধ্যান-ধারণা রয়ে গিয়েছে, বলছে সমীক্ষা।
২০২৫ সালে এসেও প্রেম-বিয়ের ক্ষেত্রে চিরাচরিত ধ্যান-ধারণাই প্রচলিত। মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের উচ্চতা বেশি হবে, এই ধারণা বিদ্যমান। এমনই বলছে এক সমীক্ষা।
ডেটিং সাইটে নাম লেখাতে হলে ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হয়। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, যে পুরুষদের উচ্চতা বেশি, তাঁদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন মহিলারা।
২০২৫ সালে এসেও অনেকেরই বিয়ের জন্য পরিবার-পরিজনরা পাত্র বা পাত্রী দেখেন। সেক্ষেত্রেও লম্বা ছেলেদের চাহিদা বেশি।
সমাজে প্রচলিত ধারণা হল, শক্তিশালী পুরুষরা লম্বা হবেন। যে পুরুষের চেহারা ভালো, তিনি স্ত্রীকে সব ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারবেন। এই কারণেই প্রেম-বিয়ের ক্ষেত্রে লম্বা ছেলে খোঁজা হয়।
যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রথম দর্শন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়, ‘ফার্স্ট ইমপ্রেশন ইজ দ্য লাস্ট ইমপ্রেশন।’ এই কারণে লম্বা ছেলেরা কেড়ে নেন।
কোনও পুরুষের উচ্চতা সাড়ে পাঁচ ফিটের বেশি না হলে তাঁর পক্ষে প্রেম বা বিয়ের জন্য উপযুক্ত সঙ্গিনী খুঁজে পাওয়া কঠিন।
ডেটিং সাইটে ধর্ম, জাত, স্থান, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বৈবাহিক অবস্থা অনুযায়ী পছন্দের ভিত্তিতে সম্ভাব্য সঙ্গী বা সঙ্গিনী বাছাইয়েরর সুযোগ দেওয়া হয়। এবার এক জনপ্রিয় ডেটিং সাইটে উচ্চতা অনুযায়ীও সঙ্গী বাছাইয়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
সমীক্ষা বলছে, আধুনিক যুগেও মহিলারা বিয়ের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার খোঁজ করেন। এ বিষয়ে সব দেশের মহিলাদেরই মনোভাব একরকম।
সমীক্ষা বলছে, যে মহিলাদের উচ্চতা কম, তাঁরাও বেঁটে ছেলেদের খাটো করে দেখেন। এই ধরনের মহিলাদেরও সঙ্গী হিসেবে প্রাথমিক পছন্দ লম্বা পুরুষ।
এখনও কোনও মহিলার চেয়ে তাঁর প্রেমিক বা স্বামীর উচ্চতা কম হলে সামাজিকভাবে ব্যঙ্গের শিকার হতে হয়। এই কারণেই মহিলারা সঙ্গী হিসেবে লম্বা পুরুষের খোঁজ করেন। এমনই বলছে সমীক্ষা।
আপনার মতামত লিখুন :