Agaminews
Dr. Neem Hakim

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের প্রাণ শুভাঢ্যা সার্বজনীন মহাশ্মশানের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ


দৈনিক বিজনেস ফাইল প্রকাশের সময় : জুলাই ২৭, ২০২৫, ৬:৪২ অপরাহ্ন /
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের প্রাণ শুভাঢ্যা সার্বজনীন মহাশ্মশানের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ

পলাশ চন্দ্র দাস, স্টাফ রিপোর্টার
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের অন্তর্গত ” শুভাঢ্যা সার্বজনীন মহাশ্মশান মন্দির ” প্রাঙ্গণে ( ২৫ জুলাই ২০২৫) শুক্রবার বিকেলে উক্ত মন্দিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়। কেরানীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী এবং সর্বপ্রথম শ্মশানঘাট হলো শুভাঢ্যা সার্বজনীন মহাশ্মশান ঘাট মন্দির। এই শ্মশান মন্দিরকে কেন্দ্র করেই পরবর্তীতে কেরানীগঞ্জে অনেক শ্মশানঘাট নির্মিত হয়েছে। তবে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আধ্যাত্মিকতা এবং প্রাকৃতিক মনমুগ্ধকর পরিবেশের জন্য কেরানীগঞ্জের সকল শ্মশান ঘাটের মধ্যে ‘ শুভাঢ্যা সার্বজনীন মহাশ্মশান ঘাট ‘ শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার।
শুভাঢ্যা সার্বজনীন মহাশ্মশান ঘাট মন্দিরের বাৎসরিক সুনামধন্য অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে – বাৎসরিক শ্মশানকালী মায়ের পূজা, বাৎসরিক শিব চতুর্দশী পূজা, বাৎসরিক হরিনাম সংকীর্তন, বাৎসরিক রক্ষাকালী মায়ের পূজা, বাৎসরিক পৌষ সংক্রান্তি মেলা ও ঘুড়ি উৎসব, চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে বাৎসরিক বৈশাখী মেলা, বাৎসরিক আষাঢ়ী পূর্ণিমা / গুরু পূর্ণিমা উপলক্ষে বাৎসরিক পবিত্র মহাস্নানের ব্যবস্থা, বাৎসরিক ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান, কাঁলাচান সাধুর ৩০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী পবিত্র বটতলায় মহা উৎসবের আয়োজন উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও আরো অনেক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভক্তরা তাদের মনবাঞ্ছা পূর্ণ করার লক্ষ্যে উক্ত মন্দিরে প্রার্থনা করার সুযোগ পায়।
ধর্মীয় এই সুযোগ সুবিধাকে আরও বেশি গতিশীল ও বেগবান করার লক্ষ্যে, উক্ত মন্দিরের প্রধান উপদেষ্টা শ্রী বিমল চন্দ্র মন্ডলের নির্দেশনায় – নবীন প্রবীণের যৌথ উদ্যোগে দীর্ঘ প্রায় ৬ মাসব্যাপী এক আহ্বায়ক কমিটির অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে শুভাঢ্যা ইউনিয়নের ১৬ টি গ্রামের প্রধান দুর্গা মন্দিরের কমিটির সাথে পর্যায়ক্রমে মতবিনিময়ের মাধ্যমে তৈরি হয় বৃহৎ শক্তিশালী ‘ শুভাঢ্যা সার্বজনীন মহা শ্মশানঘাট মন্দির কমিটি ‘।
উক্ত মন্দিরের নবগঠিত কমিটিতে প্রধান উপদেষ্টার আসন অলংকৃত করেন, জে. কো. ব্যাটারী ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসের স্বত্বাধিকারী, বিশিষ্ট সমাজসেবক, শুভাঢ্যার সনাতনীদের প্রধান পথপ্রদর্শক বাবু শ্রী বিমল চন্দ্র মন্ডল, সভাপতির আসন অলংকৃত করেন শ্রী সমীর চন্দ্র ঘোষ এবং সাধারণ সম্পাদকের আসন অলংকৃত করেন শ্রী বিপ্লব চন্দ্র দাস।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন – সহ উপদেষ্টা শ্রী হরেন্দ্র নাথ মজুমদার, সহ উপদেষ্টা রাখাল বর্মন, সহ-সভাপতি সাংবাদিক পলাশ চন্দ্র দাস, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখর চন্দ্র দাস, কোষাধ্যক্ষ কিরণ চন্দ্র বিশ্বাস, সমীর সরকার, পিন্টু সরকার, প্রদীপ সরকার, ধীমান সরকার, নন্দকিশোর সরকার, কিশোর মণ্ডল, দীপঙ্কর বসু, নির্মল ঘোষ, সঞ্জয় ঘোষ, এড. সুজন দাস, স্বপন কুমার দে, শুভ, রাজু, রতন, শ্যামল, ওমেশ, পলাশ মন্ডল, রাজকুমার প্রমূখ।
উক্ত মন্দির কমিটির প্রধান উপদেষ্টা শ্রী বিমল চন্দ্র মন্ডলের উল্লেখযোগ্য কিছু নির্দেশনা হলো – সঠিক নিয়মে পূজার ব্যবস্থা করা, কোন দরিদ্র পরিবার তার কন্যাকে টাকার অভাবে বিয়ে দিতে পারছে না তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করা, কোন দরিদ্র পরিবার টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না তাদেরকে সাহায্য করা, কোন দরিদ্র পরিবারের কেউ মারা গেলে টাকার অভাবে শবদেহ কার্য সম্পাদন করতে পারছে না তাদেরকে সাহায্য করা, কোন দরিদ্র পরিবারে টাকার অভাবে কোন মেধাবী শিক্ষার্থী পড়াশুনা করতে পারছে না তাদেরকে সাহায্য করা, ধর্মীয় পাঠাগার তৈরি করা ইত্যাদি।
কেরানীগঞ্জের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ মন্দির কমিটির সকল মহৎ উদ্দেশ্যকে সাধুবাদ জানায় এবং দৃঢ়তার সাথে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে কার্যকর করার জন্য অনুরোধ করেন।
পরিশেষে মন্দির কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ সবার কাছে আশীর্বাদ ও সহযোগিতা কামনা করেন যেন তারা উত্তরোত্তর আরো বেশি ভালো কাজ করতে পারেন এবং ‘ সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে ‘ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিভিন্ন রকম মহৎ কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।