বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংস পরিস্থিতির কারণে গত ১৮ জুলাই থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ওই দিন থেকে যেসব ট্রেন যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে সেসব ট্রেনের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সম্প্রতি টিকিট বিক্রির ওয়েবসাইটে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, ১৮ জুলাই থেকে ট্রেন চলাচল স্থগিত থাকায় যে সব ট্রেন সম্পূর্ণ চলাচল করেনি সেই ট্রেনের টিকিট রিফান্ডের ক্ষেত্রে যাত্রীদের করণীয় হচ্ছে—
যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হওয়ার পর স্থগিত হওয়া ট্রেনের টিকিট রিফান্ড করা যাবে। এক্ষেত্রে ট্রেন চালুর পর হতে পরবর্তী ১০ দিন পর্যন্ত ট্রেনের টিকিট রিফান্ড করা যাবে।
এছাড়া যে সকল যাত্রী ইন্টারনেটের মাধ্যমে (রেল সেবা অ্যাপস ও ওয়েবসাইট) টিকিট ক্রয় করেছিলেন তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে এবং যারা স্টেশন কাউন্টার হতে টিকিট ক্রয় করেছিলেন তারা স্টেশন কাউন্টারের মাধ্যমে ক্রয় করা টিকিট রিফান্ড করতে পারবেন।
এর আগে বাংলাদেশ রেলওয়ে বাণিজ্যিক বিভাগের দয়ীত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯-২৪ জুলাই পর্যন্ত ট্রেনের টিকিটের টাকা যাত্রীদের রিফান্ড করা হবে। যাদের টিকিট অনলাইন থেকে কেনা হয়েছে, তাদের অনলাইনে এবং যারা কাউন্টার থেকে কিনেছেন, তাদের কাউন্টারের মাধ্যমে টিকিটের বিপরীতে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে যেসব আন্তঃদেশীয় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে, সেসব ট্রেনের টিকিটের টাকা আন্তঃদেশী ট্রেনের কাউন্টার থেকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম জানিয়েছেন, ট্রেন না চলার কারণে টিকিট রিফান্ড করতে হচ্ছে। এটা সবচেয়ে বড় ক্ষতি।
তিনি বলেন, সহিংসতায় হামলাকারীরা কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের তিনটি কোচে আগুন দিয়েছে। এছাড়া সোনার বাংলা, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পারাবত এক্সপ্রেসের বিভিন্ন কোচে হামলা করে ভাঙচুর করেছে। বিভিন্ন স্টেশনে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ, সিগন্যাল ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
গত ১৮ জুলাই রাজধানীর নাখালপাড়া রেলগেট এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা রেললাইনের ওপর আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করলে জননিরাপত্তার স্বার্থে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখে বাংলাদেশ রেলওয়ে।