ঢাকা   ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪) আদানির সঙ্গে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত ৪ আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাসে সড়ক ছাড়লেন সাদপন্থীরা আর্থিক খাতে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা চুনারুঘাটে ফাঁকা গুলি ছুড়ে জনতার হাতে পিস্তলসহ আটক নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক এমপি মেজর রানা হাসিনা রেজিমের ‘ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট’ এখনো বহাল: পর্দার আড়ালে বাণিজ্য সচিব! দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪)

চিতই পিঠা বিক্রি করে মাজেদা বেগমের মাসিক আয় লাখ টাকা

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : বুধবার, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪
  • 533 শেয়ার

মো. রুবেল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মাজেদা বেগমের তৈরি নানান রকমের শতাধিক রকমের ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটে আসছেন পিঠা প্রিয় মানুষজন। উপজেলার বাহেরচর বাজারের পিঠা দোকান কেন্দ্র করে কাস্টমারদের সমাগমে দৈনিক ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বিক্রি হয় তার দোকানে। মাসে প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার পিঠা বিক্রি হয় বলে জানান তিনি।

মাজেদা বেগমের বয়স ৫০ ছুই ছুই, দীর্ঘ ৯বছর যাবৎ স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে চিতই পিঠা বানিয়ে সংসার চালান। অভাবে সংসারে ৫ মেয়ে ও দিনমজুর স্বামীকে নিয়ে কোনরকম দিন কাটে। প্রতিদিন ৮টি চুলায় ১ হাজারেরও বেশি চিতই পিঠা তৈরি করেন। প্রতিটি চিতই বিক্রি হয় ১০ টাকায়। তবে ডিম ও মসলাসহ স্পেশাল ডিম পিঠা বিক্রি হয় ৩০ টাকায়। পিঠার সঙ্গেই ১০০ পদের ভর্তা ফ্রি দেয়া হয়। যার যতবার খুশি ভর্তা নিতে পারবে। ১০০ পদের ভর্তা বানানোর জন্য ১২-১৩ রকমের শুঁটকি, বিভিন্ন রকমের মাছ, কয়েক রকমের ডাল, বাদাম, ধনেপাতা, মরিচ, মৌসুমি সবজি ব্যবহার করেন তিনি।

অভিনব কায়দায় কাস্টমারদের পিঠার প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলার জন্য মাজেদা বেগম কাস্টমারদের দিকে পিঠা ছুড়ে মারে, সেই পিঠা  কাস্টমাররা ক্যাচ নিয়ে সানন্দে বিভিন্ন পদের ভর্তা মিশিয়ে খেয়ে আনন্দ প্রকাশ করে। তার এই চিতই পিঠার দোকানকে কেন্দ্র করে প্রায়ই ৫০-১০০ জন মানুষের জটলা লেগে থাকে।

আড়াইহাজার থেকে পিঠা খেতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় চিতই পিঠা পাওয়া গেলেও ১০০ পদের ভর্তা পাওয়া যায় না। তাই আমরা নানান রকমের ভর্তার স্বাদ নিতেই আমরা এখানে আসছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাজেদা আপার পিঠা বানানো দেখে বন্ধুবান্ধবসহ এসেছি।

পার্শ্ববর্তী নরসিংদী উপজেলা থেকে পিঠা খেতে আসা ইমরান হোসেন বলেন, আমরা পাঁচটি মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকজন বন্ধু মিলে এখানে পিঠা খেতে এসেছি।  বাঞ্ছারামপুরের ফেসবুক বন্ধুর পোস্টের মাধ্যমে ৯০ থেকে ১০০ পদের ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খাওয়ার বিষয়টি জানতে পারি। চিতই পিঠা দিয়ে টাটকা ভর্তার স্বাদ বেশ ভালই লেগেছে।

মাজেদা বেগমের স্বামী মোঃ রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, আমার পাঁচ মেয়ে, নয় বছর যাবত পিঠা বানানোর ব্যবসা করে দুই মেয়ে বিয়ে দিয়েছি, তিন মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে। আমাদের সংসার ভালই চলতেছে আমরা বেশ আনন্দে আছি। অনেক থানার মানুষ আমার এখানে পিঠা খেতে আসে। মানুষ আনন্দ পায় আমরাও বেশ সুখে আছি।

মাজেদা বেগম বলেন, আগে পরিবারে অভাব-অনটন ছিল। এখনকার অবস্থা অনেক ভালো। ৩ বছর ধরে তার পিঠার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। তবে নয় বছর যাবৎ আমি পিঠা বিক্রি করছি। আমি প্রথমে ৫০০০ টাকা বুজি নিয়ে পিঠা বিক্রি শুরু করলেও এখন আমি বেশ ভালো আছি। নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, হোমনা, দাউদকান্দিসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ পিঠা খেতে আসে। শুক্রবারে ভিড় থাকে বেশি। শুক্রবারের দ্বিগুণ চালের পিঠা বিক্রি হয়।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০