গোপালগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেহেদীকে হত্যা করে তার পিতা : সিআইডি

প্রকাশিত: ৯:১২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
অবশেষে ১১ মাস পর গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার পদ্মাকান্দা গ্রামের জলাবদ্দ জমি থেকে উদ্ধার হাত-পা বাঁধা অর্ধ গলিত অজ্ঞাত লাশের পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে সিআইডি।
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে লাশটি মেহেদী মাতুব্বরের (১৭) বলে তারা নিশ্চিত হয়।
এদিকে ২২ সেপ্টেম্বর এঘটনার সাথে জড়িত সিআইডি গোপালগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত এএসপি মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে সিআইডি’র একটি টীম হত্যাকান্ডে জড়িত ভিকাটমের পিতা ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদি গ্রামের আরব আলী মাতুব্বর (৪০) কে গ্রেফতার করে।
সিআইডি’র জিজ্ঞসাবাদে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের ছেলেকে ঢাকা থেকে ফোন করে বাড়িতে ডেকে এনে নিজেই তার হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে প্রতিপক্ষের বাড়ির পাশে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে বলে স্বীকারোক্তী দেয় ঘাতক পিতা আরব আলী মাতুব্বর।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডি গোপালগঞ্জের এস,আই মহতাব উদ্দিন বলেন, প্রতিপক্ষকে হত্যা মামলায় ফাঁসায়ে জব্দ করতে নিজের ছেলে মেহেদী মাতুব্বরকে হাত-পা বেঁধে আসামীদের বাড়ির পাশে জলাবদ্দ জমিতে ডুবিয়ে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে আরবআলী মাতুব্বর। পরে পুলিশ তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার এবং ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে। দীর্ঘ তদন্তের পর অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে অমরা লাশের পরিচয় নিশ্চিত হই। হত্যাকান্ডের সাথে আরব আলী মাতুব্বরের সংশিলষ্টতা খুজে পওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করলে সিআইডি’র কাছে সে তার দোষ স্বীকার করে।
প্রসঙ্গত,গত ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার পদ্মকান্দা গ্রামের জলাবদ্ধ জমি থেকে সিন্ধিয়াঘাট ফাঁড়ির পুলিশ মেহেদী মাতুব্বরের হাত-পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।ওই দিন পুৃলিশ বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-১০) রুজু করে। পরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে সিআইডি মামলাটি তদন্ত গ্রহন করে।