ঢাকা   ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ২০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিরামিক শিল্প রক্ষায় জ্বালানি গ্যাসের দাম না বাড়ানোর দাবি সালমান-আনিসুল-দীপু মনি ফের রিমান্ডে সরস্বতী পূজা আজ ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপ শুরু কুয়াশায় ঢাকায় নামতে না পেরে ৩ ফ্লাইট গেল কলকাতায় কুমারখালীতে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও মোবাইল থেরাপি ক্যাম্প অনুষ্ঠিত গত ১৫ বছরে সব ক্ষেত্রে মিথ্যা পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা হোসেনপুরে ১৭ ফেব্রুয়ারি বিনামূল্যে চিকিৎসা দেবেন ডা. তানিম ও ডা. মিরা বিএনপির জনসভাকে কেন্দ্র করে ফেনীর সোনাগাজীতে নেতাকর্মীদের মাঠ পরিদর্শন গাউসুল আজম মার্কেটের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ: প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

গত ১৫ বছরে সব ক্ষেত্রে মিথ্যা পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : সোমবার, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫
  • 23 শেয়ার

বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, গত ১৫ বছরে পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা, জিডিপিসহ সব ক্ষেত্রে মিথ্যা পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে, যার প্রভাব মোকাবিলা করতে হচ্ছে বর্তমান সরকারকে। গতকাল রোববার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁয়ে বণিক বার্তা আয়োজিত পলিসি কনক্লেভে তিনি এ কথা বলেন। এ আলোচনার মূল বিষয় ছিল ‘খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক দাম: বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান’। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে বিশ্ববাজারে বিভিন্ন পণ্যের যে দাম রয়েছে, তাতে দেশেও দাম কমার কথা। দেশে পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত আছে। দাম বাড়ার কারণ নেই। আশা করি, সামনেও দাম বাড়বে না।

বিগত সময়ে বাজারে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে প্রতিযোগিতা কমিশন ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, কমিশনকে পুরোপুরি স্বাধীন করে দেয়া হবে, যাতে বাজারে কেউ একচেটিয়া ব্যবসা করতে না পারে, প্রতিযোগিতাবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড না ঘটে। তাদের কাজে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। বাজার ব্যবস্থা ঠিক করতে স্বল্প নয়, দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করে শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ধান সংগ্রহে সরকারি সংগ্রহ সীমিত করা দরকার। অভ্যন্তরীণ মজুত যাতে ভালো থাকে, সেজন্য সরকারি সংগ্রহ আমদানিনির্ভর হওয়া উচিত। তাহলে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হবে এবং দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
দেশের সব খাতে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমার মনে হয় শেখ হাসিনার নামে একটা পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া দরকার। কারণ বায়তুল মোকাররমের খতিবের যদি পালিয়ে যাওয়া লাগে, তাহলে বুঝতে হবে কী পরিমাণ ধ্বংস করা হয়েছে সব খাত।
তিনি বলেন, বিগত সময়ের নীতিমালাগুলো ধনী শ্রেণিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য হয়েছে। ভোক্তা বা সাধারণ মানুষকে সুবিধা দেয়ার জন্য নীতি গ্রহণ করা হয়নি। বিগত ১৫ বছর দেশে উল্লেখযোগ্য কোনো বিনিয়োগ হয়নি। বিনিয়োগ না হলে কর্মসংস্থান কীভাবে হবে? তাহলে কার কাছ থেকে কর আদায় করব?

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ব্যাংকগুলোকে গত ১৫ বছরে ক্রিমিনাল ইনস্টিটিউট হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংককে ধ্বংস করা হয়েছে। এই ব্যাংকে দুর্বৃত্তায়ন করা হয়েছে। এক ব্যাংকে এক পরিবার থেকে দু-তিনজন পরিচালক হয়েছেন। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) ধ্বংস করা হয়েছে ১৫ বছর ধরে। টিসিবির ভর্তুকি পণ্যের উপকারভোগীদের সংখ্যা এক কোটি। শুনতে ভালোই লাগছে। কিন্তু যখন প্রাথমিকভাবে যাচাই করা হয়েছে, দেখা গেছে, ৪৩ লাখ কার্ডধারী ভুয়া। দেখা গেছে, অনেকের বিল্ডিং আছে। তারাও কার্ড নিয়েছে। এক ঘরে দু-তিনজন নিয়েছে। এখন মনে হয় এই ৪৩ লাখ কার্ড যাচাই করলে আরও ২০-২৫ লাখ ভুয়া পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা টিসিবির টেন্ডারে অংশ নেন না। আমি অনুরোধ করছি আপনারা অংশ নিন। টিসিবির ব্যবসায় যুক্ত হোন, সওয়াব কামান।

অনুষ্ঠানে কী-নোট উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. আবদুর রহিম খান, জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান সংগঠক সার্জিস আলম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বক্তৃতা করেন।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০