
খোকসা প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় খোকসায় একই নামে ২টি প্রবেশপত্র এক এসএসসি পরিক্ষার্থীর। শিক্ষার্থীর নাম মোছা. তামান্না আফরীন মিম। তার মাতা মোছা. সালমা খাতুন জানিপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা এবং পিতা মোঃ মোজাম্মেল হক ইউনিটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক।
শিক্ষার্থীর একটি প্রবেশপত্র দুটি ইউনিটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয় রোল নং-১২৫২১৫, রেজিঃ নং-২০১৩৫৮০০৮০, ইন নং- ১১৭৬৭৫ এবং ঈশ্বরদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ, রোল নং- ১২৪৬৫৮, রেজিঃ নং-১৯১৬২৮৬২৬৮, ইন নং-১১৭৬২৩।
এছাড়া ঈশ্বরদী স্কুল পড়ুয়া এই ছাত্রীর হাজিরা খাতায় কোন নাম নেই এমনকি সাময়িক বা অর্ধসাময়িক এবং এসএসসি নির্বাচনী পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি তবুও এসএসসি পরিক্ষা দিচ্ছেন বলেন অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও খোকসা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়। লিখিত অভিযোগ করেন শরিফুল ইসলাম (জমির) প্রধান শিক্ষক বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় বর্তমান চেয়ারম্যান বেতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঈশ্বরদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকচ করেছেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল আকতার ।
জানা যায়, জানিপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সালমা খাতুন তার বিদ্যালয় থেকে ৮ কিমি দূরে ঈশ্বরদী স্কুলে দূরে ভর্তি করেন মেয়ের রেজাল্ট ভালো করার জন্য পরিক্ষার কেন্দ্র তার নিজ প্রতিষ্ঠানে।
বিষয়টি জানাজানি হলে মাধ্যমিক অফিসার ও নির্বাহী অফিসার এবং জেলা প্রশাসক অনিয়মের কারণে তামান্না আফরীন মিমকে পরীক্ষা দেয়া থেকে বিরত রাখেন।
এ অনিয়মের সাথে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একজন সরকারী কর্মকর্তা এই অনিয়মের সাথে জড়িত বলেন অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য, শিক্ষা মন্ত্রী, সচিব, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ এবং কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো।