ঢাকা   ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ১২ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শেখ হাসিনা দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে সক্রিয় ছিলাম: বিজনেস ফাইলকে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান পিকাসো টাইলস ডিলার কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত শপথ নিলেন আইডিএবির প্রথম নির্বাহী কমিটি স্বামী জিয়া উদ্দিনের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা, প্রতিকার চেয়ে স্ত্রী শারমিন জাহানের সংবাদ সম্মেলন অমর একুশে বই মেলায় পাঠকের নজর কেড়েছে আবদুল মাজেদের ‘পঞ্চভূত’ বিতর্কিত নির্বাচনের সহযোগী ১০৩ কর্মকর্তার পুলিশ পদক প্রত্যাহার সমাজসেবার আওয়ামী প্রেতাত্মা ওয়ারেছ আলী’র ভয়ংকর মিশন! ফেনীতে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা : পুলিশ সুপার ফেনীতে সাংবাদিকতায় দিনব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত ভালুকায় রাজৈ সজনগাও যুব সমাজের উদ্যোগে খেলা ও মেলা অনুষ্ঠিত

কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : বুধবার, জুলাই ১০, ২০২৪
  • 139 শেয়ার

বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
সরকারি চাকরিতে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল করে হাইকোর্টের দেয়া রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। আজ বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টায় আপিল বিভাগে শুনানি শেষে এ রায় দেন আদালত। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরতে বললেন প্রধান বিচারপতি।
ফাঁস হওয়া প্রশ্নে চাকরি পাওয়া ক্যাডারদের তালিকা হচ্ছে
এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এর আগে মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। শুধু এই মামলার শুনানির দিন ধার্যের জন্য চেম্বার বিচারপতির আদালত বসেছিলেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীও হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানিও একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া এবং উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান চেম্বার আদালতের অনুমতি নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন।

ওইদিনই আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে সেই আবেনের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন চেম্বার আদালত। সে অনুযায়ী আজ সকাল ১০টার দিকে আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপিত হয়।
শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। আমাদের রাষ্ট্রপক্ষেরও একটি আবেদন রয়েছে। দুটি আবেদন একসঙ্গে সাড়ে ১১টায় শুনানি হলে ভালো হয়। তখন আপিল বিভাগ শুনানির জন্য বেলা সাড়ে ১১টা নির্ধারণ করেন।

এ সময় রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী শুনানির জন্য সময় চান। তবে আদালত সময় নামঞ্জুর করে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আবেদন শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেন। আদালতে শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের এক রিটে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৫ জুন কোটা পুনর্বহাল করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান। পরে রাষ্ট্রপক্ষ রায়টি স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত গত ৯ জুন আবেদনটি শুনানির জন্য ৪ জুলাই নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।

৪ জুলাই হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়নি। তবে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টের রায় স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর ৪ জুলাই প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ ‘নট টু ডে’ (আজ শুনানি নয়) আদেশ দেন।

রিট আবেদনকারী পক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিট আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড মো. জহিরুল ইসলাম।

নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) ও ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকার পরিপত্র জারি করে। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা এমন পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট দায়ের করেন অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। একই বছরের ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে চলতি বছরের ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট।

রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী জানান, পুরো কোটা বাতিল না করে কেবল নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের কোটা বাতিল করা হয়েছিল। এটি অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এখন থেকে এসব গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তাদের সন্তানদের নিয়োগে আর কোনো বাধা নেই। এরপর ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০